লিবিয়ার বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ৩০০তে পৌঁছেছে

দেরনায় বেঁচে যাওয়া মানুষদের খুঁজছেন উদ্ধারকর্মীরা (১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩)

লিবিয়ার উপকূলীয় শহর দেরনায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর দুইটি বাঁধ ধসে পড়লে প্রাণঘাতী বন্যার সৃষ্টি হয়। এই দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ৩০০তে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট। বৃহস্পতিবার সংস্থাটি আরও জানায়, উদ্ধার কার্যক্রম এখনো চলছে।

ত্রাণ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এই সংস্থার মহাসচিব মারি এল-দ্রেস এপিকে টেলিফোনে জানান, ভূমধ্যসাগরীয় শহরটিতে আরও ১০ হাজার ১০০ মানুষ এখনো নিখোঁজ আছেন। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এর আগে দেরনায় ৫ হাজার ৫০০ জন মারা গেছে বলে জানায়। লিবিয়ার অন্যান্য অংশে ঝড়ের কারণে আরও ১৭০ জন মারা গেছেন।

রবিবার রাতে দেরনায় বন্যার পানিতে অনেক পরিবারের সব সদস্য ভেসে গেছেন। যার ফলে ২০১১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাতের পর থেকে এই তেলসমৃদ্ধ দেশটিতে চলমান সংঘাতের কারণে সৃষ্ট ভঙ্গুরতা প্রকাশ পেয়েছে।

ভূমধ্যসাগরের অত্যন্ত শক্তিশালী ঝড় ড্যানিয়েল পূর্ব লিবিয়ার বিভিন্ন অংশে প্রাণঘাতী বন্যার সৃষ্টি করে। তবে সবচেয়ে বড় আকারে আক্রান্ত হয় দেরনা। রবিবার রাতে উপকূলে ঝড় আঘাত হানার পর বাসিন্দারা জানান, তারা প্রবল বিস্ফোরণের শব্দের মতো শব্দ শুনেছেন। এ সময় শহরের বাইরের দিকের দুইটি বাঁধ ধসে পড়ে। শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়া ওয়াদি দেরনা উপত্যকার মধ্য দিয়ে বন্যার পানি বাধাহীনভাবে প্রবাহিত হতে থাকে। বন্যার পানি দালানগুলোকে বিধ্বস্ত করে এবং মানুষজনকে সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।

পূর্ব লিবিয়ার কর্মকর্তারা জনসাধারণকে আসন্ন ঝড় নিয়ে সতর্কবাণী দেয়। সাগরের পানি বেড়ে যাওয়ার আশংকায় শনিবার বাসিন্দাদের উপকূলীয় এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। কিন্তু বাঁধ ধসে পড়া নিয়ে কোন সতর্কবাণী দেওয়া হয়নি।

স্থানীয় কর্মকর্তারা ধারণা করেন, মৃতের সংখ্যা ঘোষণার চেয়ে আরো অনেক বেশি হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র ত্রাণ সংস্থাগুলোকে অর্থ পাঠাবে এবং জাতিসংঘ ও লিবিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে বাড়তি সহায়তা দেবে।