মাহসা আমিনির মৃত্যুবার্ষিকীতে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের নারীরা কেউ কেউ তাদের বাধ্যতামূলক হিজাব ছাড়াই তেহরানের কেন্দ্রস্থলে হাঁটছেন। ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩।

যুক্তরাষ্ট্র গত বছর ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে থাকাবস্থায় মাশা আমিনির মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে ইরানের বিক্ষোভের “সহিংস দমন” এর সাথে যুক্ত ২৪ জনের বেশি ব্যক্তি এবং সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রক একথা জানায়।

এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর বা আইআরজিস ‘র ১৮ জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং ইরানের আইন প্রয়োগকারী বাহিনী বা এলইএফ, সেইসাথে ইরানের কারাগার সংস্থার প্রধানসহ ২৯ জন ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে আরোপ করা হয়। তারা ইরানের ইন্টারনেট অবরোধের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম আউটলেটকেও লক্ষ্যবস্তু করে।

শনিবার আমিনির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।

ব্রিটেন পৃথকভাবে তেহরানের বাধ্যতামূলক হিজাব আইন প্রয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন ইরানি সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে তাদের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ইরানের সংস্কৃতি ও ইসলামিক দিকনির্দেশনা বিষয়ক মন্ত্রী, তার ডেপুটি, তেহরানের মেয়র এবং ইরানি পুলিশের একজন মুখপাত্র।

আমিনি একজন ইরানি কুর্দি নারী। তিনি ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির বাধ্যতামূলক পোশাক নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২২ বছর বয়সে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মারা যান। তার মৃত্যুর ফলে কয়েক মাসব্যাপী সরকার বিরোধী বিক্ষোভ জন্ম নেয় যা ছিল কয়েক বছরের মধ্যে ইরানি কর্তৃপক্ষের বিরোধিতার সর্ববৃহৎ প্রদর্শন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাগুলো, লক্ষ্যবস্তুদের সাথে সাধারণত আমেরিকানদের লেনদেনে জড়িত হতে নিষেধ করে।