আমিনির মৃত্যু এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পরিষদের পদক্ষেপ

কয়েকজন ইরানি নারী তেহরানের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ ইরানের মানবাধিকার রেকর্ডের পরিপ্রেক্ষিতে সে দেশের ক্রমবর্ধমান অস্ত্রভাণ্ডারে আমদানি বা রপ্তানি করার ক্ষমতার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে কয়েকটি পদক্ষেপের অনুমোদন দিয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা, প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্য ব্যক্তির উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে। দেশব্যাপী বিক্ষোভের এক বছর পূর্তির আগে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রকে আরও শাস্তি দিতে চায় ওয়াশিংটন। এই প্রস্তাব এখন সেনেটে যাবে। তবে, ডেমোক্রেটিক-নিয়ন্ত্রিত চেম্বার এগুলিকে গ্রহণ করবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

প্রথম বিলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উৎপাদন ও রপ্তানি প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। "মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার" জন্য উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দ্বিতীয় বিলটি। তৃতীয় প্রস্তাবে নির্দিষ্টভাবে বাহা’ই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর সরকারের নির্যাতনকে নিন্দা করা হয়েছে।

তিনটি প্রস্তাবের প্রায়-সর্বসম্মত বয়ানে ইরান সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের নিন্দাকে নতুনভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর সাধারণ নাগরিকদের উপর নির্মম দমন-পীড়ন চালিয়েছিল এই সরকার।

জনসমক্ষে নারীদের ইসলামি কায়দায় ওড়না পরার কঠোর বিধি লঙ্ঘন করে ঢিলেঢালাভাবে হিজাব পরার অভিযোগে আমিনিকে আটক করা হয়েছিল। ২২ বছর বয়সী এই নারী তিন দিন পর পুলিশি হেফাজতে মারা যান। কর্তৃপক্ষ জানায়, তাঁর হৃদপিণ্ড বিকল হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তাঁকে নিগ্রহ করা হয়নি। আমিনির পরিবার এই দাবির বিরোধিতা করে এবং সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।