বন্যা-বিধ্বস্ত পূর্ব লিবিয়ায় উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছে

লিবিয়ার দেরনায় বন্যা দুর্গত অঞ্চলের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩।

বৃহস্পতিবার অনুসন্ধান এবং উদ্ধারকারী দলগুলো পূর্ব লিবিয়ায় কাজ করেছে। সেখানে বিধ্বংসী বন্যায় হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে এবং আরও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।

রবিবারের বন্যার পরে ক্ষতিগ্রস্তদের সঠিক সংখ্যা স্পষ্ট নয়।

এপি পূর্ব লিবিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওথমান আব্দুলজলিলকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ৩ হাজার লাশ দাফন করা হয়েছে এবং আরও ২ হাজার লাশ এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

দেরনা শহরের মেয়র আবদেল-রাহাম আল-গাইথি আল-আরাবিয়া টেলিভিশনকে বলেন, মৃতের সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছোতে পারে।চ

দেরনা ছিল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা যেখানে প্রবল বৃষ্টি এবং এর ফলে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ভবনগুলো ধ্বংস হয়ে যায়, কাদা মাটিতে চাপা পড়ে এবং লোকজন সমুদ্রে ভেসে যায়।

বৃহস্পতিবার বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মহাসচিব পেটেরি তালাস জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, লিবিয়ায় একটি কার্যকর আবহাওয়া পরিষেবা থাকলে “বেশিরভাগ মানুষের হতাহতের ঘটনা” এড়ানো যেত।

আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রচেষ্টার মধ্যে মিশর, আলজেরিয়া, তিউনিশিয়া, তুরস্ক, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বুধবার ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন বলেছে, বন্যার কারণে দেরনায় কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অন্যান্য অঞ্চলে আরও কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

হেশাম গাসার (৪২) একজন কূটনৈতিক নিরাপত্তা প্রহরী। তিনি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, বন্যা শুরু হওয়ার সময় তিনি ত্রিপোলিতে ছিলেন এবং তিনি তাৎক্ষণিকভাবে দেরনার উদ্দেশে রওনা দেন। তিনি বলেন, তার চাচাতো ভাইয়ের পরিবারের আটজন সদস্য নিখোঁজ রয়েছে।

তিনি বলেন, "কিছু মানুষ বেঁচে গেছে কিন্তু তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের খুঁজছে এবং আবিষ্কার করছে যে তারা একা। তারা এখন নিজেদের মৃত্যু কামনা করছে।” “এটি অবাস্তব একটি অনুভূতি।"

হেদার মারডক এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।