যুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদানের ১৭টি রাজ্যের অন্তত এক কোটি কৃষক, পশুপালক এবং জেলেদের সহায়তা করার জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, এফএও। এক বছর মেয়াদী এই কর্মসূচির লক্ষ্য, দেশটিতে গত পাঁচ মাস ধরে চলা সশস্ত্র সংঘাতের কারণে সৃষ্ট খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার হুমকি মোকাবেলা করা।
খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আগামী মাস থেকে শস্যবীজ বিতরণ করবে এফএও। যাতে করে, দেড় থেকে প্রায় ২ কোটি লোকের দুবেলা খাবার নিশ্চিত করা যায়।
এফএওর নিকটপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার আঞ্চলিক প্রতিনিধি আবদুলহাকিম এলওয়ার, বলেছেন, তাদের ইমার্জেন্সি লাইভলিহুড রেসপন্স প্ল্যানটি মূলত সুদানে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মোকাবেলার জন্য সাজানো হয়েছে।
এলওয়ার বলেন, "ইএলআরপির লক্ষ্য হল ঝুঁকিতে থাকা মানুষের উপর সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রভাব প্রশমিত করা, তাদের তাৎক্ষণিক প্রয়োজনের সমাধান করা, এবং সামগ্রিক জনসংখ্যার জন্য ন্যূনতম স্তরে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পাশাপাশি তাদের আগের অবস্থায় ফিরে আসার শক্তি পুনরুদ্ধার এবং তা শক্তিশালী করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।" তিনি বলেন, "কৃষিখাত দেশটির জীবন ধারণের প্রধান চালিকা শক্তি।"
সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এবং আধাসামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ের ফলে, গত এপ্রিল থেকে সংঘাতে জর্জরিত হয়ে পড়ে সুদান।
সংঘাতে এ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং আরও কয়েক লক্ষ মানুষক খাদ্য, ওষুধ এবং আশ্রয়ের সন্ধানে প্রতিবেশী দেশগুলিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
গত মাসে প্রকাশিত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ (আইপিসি) এর অনুমান অনুসারে, ২ কোটিরও বেশি সুদানী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, এর মধ্যে অন্তত ৬০ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়েছে।
এলওয়ার বলেন, তাদের পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন, সুদানে মানবিক সংকট ও দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধ করতে পারে।
জাতিসংঘের কৃষি সংস্থাটি বলেছে, তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ১২ কোটি ৩০ লাখ ডলার প্রয়োজন, প্রোগ্রামটি ২০২৪ সালের আগস্টে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে