সুদানের পশ্চিম দারফুরে জাতিগোষ্ঠীগত হামলায় শতাধিক লোক নিহতঃ জাতিসংঘ

২০২৩ সালের ১৬ জুন তোলা একটি ছবিতে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সুদানে চলমান লড়াইয়ের মধ্যে পশ্চিম দারফুরের রাজধানী এল জেনেইনার বাড়ির কাছে ঢেকে রাখা মৃতদেহ দেখা যাচ্ছে। ফাইল ছবি।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেন, সুদানের আধা-সামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এবং সহযোগী মিলিশিয়াদের দ্বারা সংগঠিত জাতিগোষ্ঠীগতভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলায় পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক জেনেভা মানবাধিকার কাউন্সিলকে বলেন, “পশ্চিম দারফুরে, আরএসএফ এবং মিত্র আরব মিলিশিয়াদের দ্বারা সংঘটিত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জাতিগোষ্ঠীগত আক্রমণের ফলে প্রাথমিকভাবে মাসালিত সম্প্রদায়ের শত শত অ-আরব বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।”

২০০৩ এবং ২০০৮-এর মধ্যে দারফুরে সংঘাতে ৩ লাখের মতো মানুষ হত্যা এবং ২০ লাখের বেশি মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই ধরনের ঘটনাগুলো একটি ভয়ানক অতীতের প্রতিধ্বনি যার পুনরাবৃত্তি করা উচিত নয়।”

আরএসএফ দ্বন্দ্ব পর্যবেক্ষক, অধিকার গোষ্ঠী এবং সাক্ষীদের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে যে, তারা বেসামরিক মানুষদের ওপর হামলার পেছনে রয়েছে। তবে তারা বলেছে, তাদের সেনাদের কেউ এতে জড়িত থাকলে তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা গত সপ্তাহে বলেছে, তাদের ধারণা বছরের শেষ নাগাদ সুদান থেকে ১৮ লাখের বেশি মানুষ প্রতিবেশী পাঁচটি দেশে পালিয়ে যাবে।

গণভ্যুত্থানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার চার বছর পর সুদানে যুদ্ধ শুরু হয়। সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যকার উত্তেজনা বেসামরিক শাসনে রূপান্তরের অংশ হিসেবে তাদের বাহিনীকে একীভূত করার পরিকল্পনা নিয়ে লড়াইয়ের সূত্রপাত হয়েছিল। তারা যৌথভাবে ২০২১ সালে একটি অভ্যুত্থান ঘটিয়েছিল। যদিও বেশ কয়েকটি দেশ মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা শুরু করেছে, কেউই লড়াই থামাতে সফল হয়নি।