ভারতে সংসদের আসন্ন বিশেষ অধিবেশনে আসতে চলেছে সরকারি সংস্থা ট্রাই-এর শীর্ষে বেসরকারি কর্তা নিয়োগের বিল

ভারতে সংসদের আসন্ন বিশেষ অধিবেশনে আসতে চলেছে সরকারি সংস্থা ট্রাই-এর শীর্ষে বেসরকারি কর্তা নিয়োগের বিল।

ভারতে দু'দফায় ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার বিগত সাড়ে নয় বছরে যে সব গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সংস্কার করেছে তার মধ্যে অন্যতম হল, পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলা। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থার শীর্ষে বেসরকারি ব্যক্তিদের বসানোও মোদী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ার আর একটি দিক। এই ভাবনাকে সামনে রেখে এবার ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথিরিটি বা ট্রাই-এর মাথায় অভিজ্ঞ বেসরকারি ব্যক্তি বসাতে আইন সংশোধন করার পথে এগোচ্ছে কেন্দ্রের সরকার।

আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলা সংসদের আসন্ন বিশেষ অধিবেশনেই ১৯৯৭ সালের ট্রাই আইনের ৪ নম্বর ধারাটি সংশোধন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে সরকারি বা বেসরকারি ক্ষেত্রের টেলিকম সেক্টরে ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোনও ব্যক্তি ট্রাই-এর চেয়ারম্যান হতে পারবেন। চলতি আইনে বেসরকারি ব্যক্তিকে বসানোর বিধান নেই।

ট্রাই-এর বর্তমান চেয়ারম্যান পিডি বাঘেলা ১৯৮৬ সালে গুজরাত ক্যাডারের আইএএস অফিসার। সংস্থার প্রথম চেয়ারম্যান এসএস শোধি ছিলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।

ভারতের সরকারি-বেসরকারি টেলিফোন পরিষেবা এবং ইন্টারনেট সার্ভিসের নিয়ামক সংস্থা হল ট্রাই। টেলিকম ব্যবসার খুঁটিনাটি নজর রাখে এই সংস্থা। টেলিকম ব্যবসার যাবতীয় অনুমোদনও দেয় এই প্রতিষ্ঠান। পুরোদস্তুর সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাথায় বেসরকারি ব্যক্তিকে বসানোর বিষয়ে প্রশাসনিক মহলের ব্যাখ্যা হল, ট্রাই-এর স্বার্থে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে এই সিদ্ধান্ত।

এর আগে শেয়ার বাজারের নিয়ামক সংস্থা সেবি-র মাথায় বসানো হয়েছে বেসরকারি কর্তাকে। সেবি-র বর্তমান চেয়ারম্যান মাধবী পুরি একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। ভারত সরকার সম্প্রতি ডাটা প্রোটেকশন বোর্ড গঠন করেছে। সংসদের বিগত অধিবেশনেই পাশ হয়েছে ডিজিটাল পার্সোনাল ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট। ওই আইনে বোর্ডের শীর্ষে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তাকে বসানোর বিধান রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য এই ব্যাপারে প্রথম সংস্কারটি মোদী সরকার করে রেল বোর্ডে। বোর্ডের চেয়ারম্যান পদটিকে বদলে চেয়ারম্যান অ্যান্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বা সিএও করা হয়। উদ্দেশ্য রেলকে বাণিজ্যমুখী করে তোলা। এই পদেও বেসরকারি ব্যক্তিকে বসানোর বিধান রয়েছে।