ভারতের রাজধানী দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন বসেছিল ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর, গত শনি ও রবিবার। অংশগ্রহণকারী অন্যান্য রাষ্ট্রনেতাদের মতোই দিল্লিতে সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
সম্মেলন শেষ হয়ে গিয়েছে রবিবার দুপুরে। বিদেশি অতিথিরা প্রায় সকলেই ফিরে গিয়েছেন দেশে। কিন্তু ফিরতে পারেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী। বিমান বিভ্রাটে তিনি ভারত ছাড়তে পারলেন মঙ্গলবার।
তারও ফিরে যাওয়ার কথা ছিল রবিবার বিকালেই। কিন্তু ফেরা হয়নি। দিল্লির ললিত হোটেলে রয়ে যেতে হয়েছিল। কারণ তার বিমান খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ভারতীয় ইঞ্জিনিয়াররা দু’দিন ধরে চেষ্টা করেও তার বিমান সারিয়ে তুলতে পারেননি। সংবাদ সূত্রে জানা যায় কানাডা থেকে বিকল্প বিমান এসে তাকে নিয়ে যাচ্ছে মঙ্গলবার।
এদিকে, দিল্লির হোটেলে আটকে থাকা কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রবিবারের পর ভারত সরকারের কোনও প্রতিনিধি দেখা করেননি বলে সংবাদ সূত্রের খবর। জাস্টিন ট্রুডো-ও হোটেল থেকে বের হননি।
তার পুত্র সঙ্গে এসেছেন। হোটেলেই গল্পগুজব করে সময় কেটেছে তাদের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সে দেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলও ভারতে এসেছে একই বিমানে।
গত শুক্রবার বিমান বন্দরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি বলেছেন, "আমাকে শুধু স্বাগত জানাতেই যেতে বলা হয়েছিল। আর কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। অতিথির বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।"
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে কানাডায় খালিস্তানিদের ক্রমবর্ধমান ভারত বিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সূত্রের খবর, কানাডার প্রধানমন্ত্রী বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্ব দেননি। তিনি বাক্-স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার বলে লঘু করে দেখিয়েছেন।
অন্যদিকে এর বিপরীত ভূমিকা নিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। দিল্লিতে নেমেই তিনি জানিয়ে দেন যুক্তরাজ্যে খলিস্তানিদের ভারত বিরোধী কার্যকলাপ কড়া হাতে দমন করা হবে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় বিগত কয়েক মাসে খালিস্তানপন্থীরা ভারতীয় দূতাবাস-সহ একাধিক জায়গায় হামলা চালিয়েছে। ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছে।