সুইডেন তাদের স্কুলগুলোতে আরও বই আর হাতের লেখার অনুশীলন ফিরিয়ে আনছে

স্টকহোমের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক ছাত্রদেরকে তাদের হাতের লেখা অনুশীলন করতে সাহায্য করছেন। ৩১ আগস্ট, ২০২৩।

গত মাসে সুইডেন জুড়ে ছোট বাচ্চারা স্কুলে ফিরে যাওয়ার পর তাদের অনেক শিক্ষক মুদ্রিত বই, শান্তভাবে পড়ার সময়, হাতের লেখার অনুশীলন ও ট্যাবলেটে কম সময়, স্বাধীন অনলাইন গবেষণা ও টাইপ করার দক্ষতার ওপর নতুন করে জোর দিচ্ছেন।

শিক্ষার এই ঐতিহ্যবাহী রীতিতে ফিরে আসা রাজনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞদের মন্তব্যের একটি প্রতিক্রিয়া, যাদের প্রশ্ন, নার্সারি স্কুলে ট্যাবলেটের প্রবর্তন শিক্ষার ক্ষেত্রে দেশের হাইপার-ডিজিটালাইজড পদ্ধতি মৌলিক দক্ষতা হ্রাসের দিকে পরিচালিত করেছে কি না।

২০২১ সালে সুইডিশ একজন চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর গড় ছিল ৫৪৪ পয়েন্ট, যা ২০১৬ সালে গড় ৫৫৫ থেকে কম। তবে তাদের পারফর্ম্যান্স এখনো টেস্ট স্কোরের দিকে তাইওয়ানের সাথে যৌথভাবে সপ্তম স্থানে রয়েছে।

করোনা ভাইরাস মহামারির ফলে শেখার কিছু ঘাটতি হতে পারে। দিন দিন বাড়তে থাকা অভিবাসী ছাত্ররা তাদের প্রথম ভাষা হিসেবে সুইডিশ বলতে পারে না। তবে স্কুল পাঠের সময় স্ক্রিনের অতিরিক্ত ব্যবহার শিক্ষার্থীদেরকে মূল বিষয়গুলো থেকে পিছিয়ে দিতে পারে বলে বলছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

ডিজিটাল সরঞ্জামগুলোর দ্রুত গ্রহণ ইউনেস্কোর উদ্বেগকেও আকর্ষণ করেছে।

গত মাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ইউনেস্কো “শিক্ষায় প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের জন্য জরুরি আহ্বান” জারি করেছে। প্রতিবেদনে দেশগুলোকে স্কুলে ইন্টারনেট সংযোগের গতি বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু একইসাথে সতর্ক করা হয়েছে যে, শিক্ষায় প্রযুক্তি এমনভাবে প্রয়োগ করা উচিত যাতে এটি কখনোই ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষক-নেতৃত্বাধীন নির্দেশনাকে প্রতিস্থাপন না করে এবং সকলের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার অভিন্ন উদ্দেশ্যকে সমর্থন করে।