ভারতের কর্ণাটকে বেঙ্গালুরু বনধ প্রত্যাহার করল বেসরকারি বাস পরিবহন সংস্থার ফেডারেশন, দাবি পূরণের আশ্বাস সরকারের

কর্নাটক সরকার বাস মালিক ও পরিবহণ কর্মীদের সমস্ত দাবিদাওয়া পূরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেই উঠে গেল বেসরকারি বাস পরিবহণ সংস্থার ফেডারেশনের তরফে ডাকা বেঙ্গালুরু বনধ।

সোমবার ১১ অগাস্ট সকাল থেকেই ধর্মঘটের জেরে ভারতের কর্ণাটকে বেঙ্গালুরুর রাস্তায় বন্ধ ছিল ক্যাব, ট্যাক্সি এবং অন্যান্য বেসরকারি বাস চলাচল। তার জেরে সপ্তাহের শুরুর দিনেই বেজায় সমস্যায় পড়েছিলেন ব্যস্ত শহরের নিত্যযাত্রীরা। কিন্তু কর্নাটক সরকার বাস মালিক ও পরিবহণ কর্মীদের সমস্ত দাবিদাওয়া পূরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেই উঠে গেল বেসরকারি বাস পরিবহণ সংস্থার ফেডারেশনের তরফে ডাকা বেঙ্গালুরু বনধ।

বাস ইউনিয়নগুলির প্রধান দাবি ছিল, কর্নাটক সরকারের ‘শক্তি প্রকল্প’-এর আওতায় আনতে হবে রাজ্যের বেসরকারি বাস পরিষেবাকেও। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছিল, মহিলাদের বিনামূল্যে পরিবহণের সুবিধা দেওয়ার ফলে তারা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। কিন্তু রাজ্য সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, বেসরকারি বাসগুলির ক্ষেত্রে শক্তি প্রকল্প সম্প্রসারিত করা সম্ভব নয়।

অটো ইউনিয়নগুলি সে রাজ্যে বাইক-ট্যাক্সি নিষিদ্ধ করারও দাবি করেছে। কারণ তাদের দাবি, এতে সরাসরি টান পড়ছে তাদের রুজিরুটিতে। এছাড়া ফেডারেশনের অন্য দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে ওয়েলফেয়ার বোর্ড, অটো চালকদের জন্য বিমা এবং বাণিজ্যিক পণ্যবাহী যানবাহনে আজীবন কর আরোপ করা। গত মিটিংয়ে ইউনিয়নের তরফে এরকম মোট ৩০ দফা দাবি পেশ করা হয়েছিল পরিবহণ দফতরের কাছে। সরকার জানিয়েছে, বাইক-ট্যাক্সি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নিয়ে আইনি পরামর্শ নিতে হবে তাদের।

এর আগে, পরিবহণ ইউনিয়নগুলি ২৪ জুলাই রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী রামালিঙ্গা রেড্ডির সঙ্গে একটি আলোচনায় বসেছিল। কিন্তু ২৭ জুলাই থেকে এই নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয় তারা।

পরিবহণ মন্ত্রী আলোচনার সময়ে বলেছিলেন, তিনি বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনবেন এবং তার সঙ্গে সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করবেন। কিন্তু তারপরেও সরকার এ বিষয়ে কোনও উচ্চবাচ্য না করায় সংগঠনগুলি ১১ সেপ্টেম্বর একদিনের জন্য ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে সোমবার পরিবহন মন্ত্রী রেড্ডি দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে সোমবার বিকেলে বনধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।