ভারতে জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির দু'দিনের শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানী দিল্লির প্রগতি ময়দান এখন ভারত মণ্ডোপম। শনিবার ৯ অগাস্ট ভারতীয় সময় সকাল ৯’টায় সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাড়ে ৯’টা থেকে আসতে শুরু করেন বিদেশি অতিথিরা। তার আগে আধ ঘণ্টা প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান স্থল ঘুরে দেখেন।
'বসুধৈব কুটুম্বকম্' - এই সংস্কৃত বাগধারাই হল জি-২০ সম্মেলনে ভারতের প্রধান ঘোষণা। 'গোটা বিশ্ব আমার আত্মীয়', এই ঘোষণাকে সামনে রেখেই তৈরি হয়েছে সম্মেলনের থিম, 'এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ'। অতিথি আপ্যায়নে তাই সামনে সারিতে দাঁড়িয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদী। কোনারক সূর্য মন্দিরের আদলে তৈরি মণ্ডপের সামনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী একে একে ৩০ জন অতিথিকে স্বাগত জানান। সকাল সাড়ে ১০’টায় শুরু হয় সম্মেলন।
এদিকে, সম্মেলনের যৌথ ঘোষণায় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা নিয়ে মত বিরোধ দেখা দিয়েছে সদস্য দেশগুলির মধ্যে। রাশিয়ার পাশাপাশি চীনও এই ব্যাপারে বেঁকে বসেছে। চীন ঘনিষ্ঠ আরও কয়েকটি দেশের আপত্তি রয়েছে। এই দেশগুলির বক্তব্য, জি-২০ একটি অর্থনৈতিক জোট। সামরিক জোট নয়। ফলে সম্মেলনে যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হতে পারে না। অন্য দিকের মত হল, যুদ্ধের কারণেই অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে বহু দেশ। তাই দ্রুত এই যুদ্ধ বন্ধ হওয়া দরকার।
এরই মধ্যে ভারতের কূটনৈতিক মহল এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে খুশি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ঘোষণায়। ভারতের মাটিতে পা দিয়েই তিনি ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাজ্যে খালিস্তানি কার্যকলাপ কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না। দিল্লির কূটনৈতিক মহল মনে করছে, এই ঘোষণা ভারতেও খালিস্তানি কার্যকলাপ মোকাবিলায় সহায়ক হবে। এখন দেখার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো খালিস্তানি ইস্যুতে মুখ খোলেন কি না। ব্রিটেনের থেকেও কানাডায় খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বেশি সক্রিয়।