চীনের সাথে ভেনেজুয়েলার নতুন সম্পৃক্ততা;মাদুরোর চীন সফর

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো দেশটির কারাকাসের মিরাফ্লোরেস প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে ভেনেজুয়েলায় কলম্বিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাৎ করার সময় কথা বলছেন। ১৬ আগস্ট, ২০২৩।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ৮-১৪ সেপ্টেম্বর চীন সফর করবেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রক শুক্রবার একথা জানায়। বেইজিং এবং পশ্চিমের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার মধ্যে এই পদক্ষেপ দেশ দুটির মধ্যে নতুন করে সম্পৃক্ততা চিহ্নিত করছে।

এই সফরটি এই সপ্তাহান্তে নয়াদিল্লিতে জি টুয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনের সাথে একই সময়ে পড়ছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ওই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না।

মাদুরো শেষবার চীন সফর করেছিলেন ২০১৮ সালে। তখন তিনি বেইজিং-এ শির সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

জ্বালানি বিনিয়োগ এবং সহযোগিতা এই সফরের মূল লক্ষ্য। চীন বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল আমদানিকারক । এদিকে ভেনিজুয়েলায় অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় প্রমাণিত মজুদ রয়েছে।

কেপলারের তথ্য অনুসারে, ভেনেজুয়েলার তেলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চীন গত বছর দেশ থেকে প্রায় ২৮৩ মিলিয়ন ব্যারেল বা প্রায় ৩৮ দশমিক ৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে। ভেনেজুয়েলার বেশিরভাগ চালান মালয়েশিয়ার মতো তৃতীয় দেশের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়।

চীন গত বছর বা এই বছর পর্যন্ত সরকারি শুল্ক তথ্যে ভেনেজুয়েলা থেকে কোনো অপরিশোধিত তেলের আমদানির কথা জানায়নি।

২০০৭ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ কর্তৃক সম্মত ৫,০০০ কোটি ডলারের তেল-ঋণ চুক্তির পর ভেনেজুয়েলাও চীনের কাছে ব্যাপকভাবে ঋণী। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০ সালে মাদুরো প্রশাসন এবং চীনা ব্যাংকগুলো এই ঋণের প্রায় ১৯০০ কোটি ডলারের জন্য গ্রেস পিরিয়ডের জন্য সম্মত হয়েছিল।