ভারতে একদিকে শুরু হচ্ছে জি-২০ সামিট, অন্যদিকে দেশের রাজনীতি উত্তপ্ত দেশের ‘ইন্ডিয়া’ বনাম ‘ভারত’ নাম বিতর্ক নিয়ে। এহেন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিদেশে। তবে দেশের রাজনীতি নিয়ে বিদেশেও সক্রিয় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। শুক্রবার ৮ অগাস্ট বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস-এ রাহুল দেশের নাম বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন। তার কথায় ইন্ডিয়া-ভারত প্রসঙ্গ সামনে আনা হয়েছে দেশের জ্বলন্ত সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে। আসলে কেন্দ্র সরকার ভয় পেয়েছে।
দেশের নাম নিয়ে বিতর্ক চলছে গত সপ্তাহ থেকে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিদেশি অতিথি এবং মুখ্যমন্ত্রী-সহ বিশিষ্টজনেদের। আমন্ত্রণপত্র গিয়েছে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত-এর নামে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দু’দিন আগে ইন্দোনেশিয়ায় আশিয়ান-ভুক্ত দেশগুলির সম্মেলনে যোগ দেন ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’ পরিচয়ে।
রাহুল গান্ধী বলেছেন, "এই সবই আসলে সরকারের হঠাৎ করে ভীত-সন্ত্রস্ত হওয়ার লক্ষণ। আদানি ইস্যুতে সরকার সমস্যায় আছে। বিরোধীরা এই ইস্যুতে সরকারকে চেপে ধরেছে। সরকার জবাব দিতে না পেরে দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছে।"
রাহুল শুক্রবার বিরোধী জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ রাখা নিয়েও বক্তব্য রাখেন। বলেন, "এটা দারুণ নাম। আর তাতেই সরকার আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। সংবিধানে বলা আছে, ‘ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত’। দেশের দুটি নামই চমৎকার। নাম বদলের ভাবনা অর্থহীন। দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়।"
রাহুল গান্ধী ব্রাসেলস-এ অনাবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করছেন। বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। সেখানে থেকে আরও কয়েকটি দেশে যাওয়ার কথা তার। বিদেশ সফর সেরে দেশে ফেরার কথা আগামী মঙ্গলবার ১২ অগাস্ট।