নিজারে অভ্যুত্থানের পর থেকে আমেরিকান ড্রোন উড়ান সীমিত করা হয়

২সেপ্টেম্বর, নাইজারের নিয়ামিতে হাজার হাজার নাগরিক ফরাসি সেনা সদর দপ্তরের সামনে জড়ো হয় এবং ফরাসি সেনাবাহিনীকে দেশ ত্যাগ করার দাবি জানায়।

যুক্তরাষ্ট্রের দুইজন কর্মকর্তা ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানিয়েছেন যে জুলাই মাসে অভ্যুত্থানের পর থেকে নিজারের ঘাঁটিগুলি থেকে সামরিক ড্রোন উড্ডয়ন “সীমিত” করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে ঐ নিষেধাজ্ঞার ফলে পশ্চিম আফ্রিকায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বিরোধী মিশন সম্ভবত বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

এ সপ্তাহে কর্মকর্তারা ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্পর্শকাতর নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

কর্মকর্তারা, রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রক্ষিতে আমেরিকার সামরিক বাহিনী নিজারের সঙ্গে “নিরাপত্তা সহযোগিতা” স্থগিত করেছে জানানো ছাড়া পেন্টাগন তার নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে দ্বিধান্বিত থেকেছে।

পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার সংবাদদাতাদের কাছে স্বীকার করেছেন যে নিজারের পরিস্থিতি “স্পষ্টত” আমেরিকার সামরিক বাহিনীর জন্য “স্বাভাবিক নয়” এবং তিনি আরও বলেন যে নিজারে আমেরিকান বাহিনীর অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে কারণ যুক্তরাষ্ট্র ঐ পরিস্থিতির কূটনৈতিক সমাধানই আশা করছে।

পশ্চিম আফ্রিকায় সন্ত্রাসবিরোধী নজরদারী, গোয়েন্দা এবং সন্ধানী তৎপরতার পরিচালনার জন্য নিজার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রাণকেন্দ্র।

ঐ অঞ্চলে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ এবং মালি ভিত্তিক ওপশ্চিম আফ্রিকায় সক্রিয় জামা'আ নুসরাত উল ইসলাম ওয়া আল-মুসলিমিনসহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠী সক্রিয়।

বর্তমান ও সাবেক আমেরিকান কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে সীমিত গোয়েন্দা তথ্য, নজরদারি এবং অনুসন্ধান (কার্যক্রম) স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসিস লং ওয়ার জার্নালের সম্পাদক ও সাবেক সৈনিক বিল রোগিও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এই সমস্যার ওপর খুব কমই নজর রাখছে এবং আপনি তখন ঐসব দেশগুলোকে একটি সুবিধা দিতে পারেন যখন আপনি ঐ সমস্যগুলো সমাধান করবেন এবং জিহাদিদের ঐ দেশগুলি বা অঞ্চলগুলো থেকে তাদের বিতাড়িত করতে পারবেন। এই জার্নালটি বৈশ্বিক সন্ত্রাস বিরোধী প্রচেষ্টা সম্পর্কিত প্রতিবেদন এবং বিশ্লেষণপ্রকাশ করে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী নিজারের রাজধানী নিয়ামে থেকে ড্রোন ওড়াতে পারে এবং ক্যামেরুন, চাদ, নিজারএবং নাইজেরিয়ার অস্থিতিশীল লেক চাদ বেসিন অঞ্চলে নজরদারি ও নজরদারি মিশনের প্রসারের জন্য কয়েকশ কিলোমিটার দূরে আগাদেজে আরেকটি বিমান ঘাঁটি স্থাপন করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সাল থেকে আগাদেজের বাইরে গোয়েন্দাতথ্য, নজরদারি ও নজরদারি ড্রোন মিশন পরিচালনা করে আসছে।