গ্রিস, তুরস্ক ও বুলগেরিয়ায় প্রবল বর্ষণ ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১-তে পৌঁছেছে

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যার পর মানুষ বিক্ষিপ্ত যানবাহন এবং আসবাবপত্রের পাশে হাঁটছে। ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩।

গ্রিস, তুরস্ক এবং বুলগেরিয়ার কিছু অংশে প্রবল বর্ষণে তিনটি প্রতিবেশী দেশের উদ্ধারকারী দল আরও চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করার পরে বুধবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১-তে পৌঁছেছে।

বুলগেরিয়ার সীমান্তের কাছে উত্তর-পশ্চিম তুরস্কের একটি ক্যাম্পসাইটে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে চারজন নিহত এবং বাংলো বাড়িগুলো ভেসে গেছে। বুধবার দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। উদ্ধারকারীরা এখনো ক্যাম্পসাইটে নিখোঁজ দুই ব্যক্তিকে খুঁজছেন।

তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুলে আরও দুজন মারা গেছে। মঙ্গলবার ঝড়ের কারণে আশেপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় শত শত বাড়ি এবং কর্মক্ষেত্র প্লাবিত হয়েছে।

ইস্তাম্বুল গভর্নরের কার্যালয় অনুসারে, ক্রমবর্ধমান বন্যার পানিতে শহরের ১৭৫০টির বেশি বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গ্রিসে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের ফলে কেন্দ্রীয় শহর ভোলোসের কাছে কমপক্ষে দুজন নিহত এবং তিনজনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফায়ার ডিপার্টমেন্ট বলেছে, মঙ্গলবার একটি প্রাচীর একজন মানুষের ওপর ভেঙে পড়ায় মানুষটির মৃত্যু হয়েছে এবং বুধবার এক নারীর মৃতদেহ আবিষ্কৃত হয়েছে।

বুলগেরিয়ায় বর্ষণের কারণে দেশটির দক্ষিণ কৃষ্ণ সাগর উপকূলে বন্যা হয়েছে। বুধবার সমুদ্র থেকে নিখোঁজ একজন পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৩-এ দাঁড়িয়েছে। সীমান্ত পুলিশের জাহাজ এবং ড্রোনগুলো এখনো নিখোঁজ হিসেবে তালিকাভুক্ত আরও দুজন ব্যক্তিকে সনাক্ত করার প্রচেষ্টায় সহায়তা করছে।

পর্যটন মন্ত্রী জারিৎসা দিনকোভা বলেন, বুলগেরিয়ার কৃষ্ণ সাগর উপকূলের পুরো দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ৪ হাজার মানুষ এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।