ভারতে 'এক দেশ এক ভোট' ব্যবস্থা চালু করা নিয়ে বুধবার ৬ অগাস্ট বৈঠকে বসতে চলেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ রাজধানী দিল্লিতে তার বাড়িতে এই বৈঠক ডেকেছেন বলে সরকারি সূত্রে খবর। এই বৈঠকের খবর থেকে বিরোধীদলগুলির ধারণা, নতুন ভোট ব্যবস্থা সম্পর্কে সংসদের আসন্ন বিশেষ অধিবেশনে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার এই ভোট ব্যবস্থা অর্থাৎ গোটা দেশে পাঁচ বছরে একসঙ্গে লোকসভা এবং সমস্ত বিধানসভার নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত এক প্রকার নিয়েই ফেলেছে। একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন তার ভাষণে নতুন ভোট ব্যবস্থা চালু করার পক্ষে সওয়াল করেছেন। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণই পাঠ করে থাকেন।
এখন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দকেই এই বিষয়ক কমিটির শীর্ষে রেখে এগোতে চাইছে মোদী সরকার। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা এখনও অভিন্ন ভোট নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত করেনি। কমিটিকে বলা হয়েছে কীভাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা সম্ভব তার দিশা দিতে।
কমিটিতে কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে রাখা হয়েছিল কিন্তু কংগ্রেস এই কমিটিতে থাকছে না। তারা আগেই জানিয়ে দিয়েছে এই ব্যাপারে দল সহমত নয়। রাহুল গান্ধী বলেছেন, "এক দেশ এক ভোট ব্যবস্থা দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। তাই এই ব্যবস্থা চালু করা অগণতান্ত্রিক।"
কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা তথা দলত্যাগী কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, অর্থ কমিশনের প্রাক্তন সচিব এন কে সিং, লোকসভার প্রাক্তন মহাসচিব সুভাষকে কাশ্যপ প্রমুখ।