বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্ক বার্তা, ভুয়ো লিভারের ওষুধে ভরে গেছে ভারতের বাজার, সম্ভাবনা চরম ক্ষতির

ভারতের ওষুধের দোকানগুলিতে খবর অনুযায়ী রমরম করে বিক্রি হচ্ছে এই জাল ওষুধ। ২০২৩-এর এপ্রিল মাসে এই ব্র্যান্ডের জাল ওষুধ ধরা পড়ে বাজারে।

কাশির ওষুধে বিষাক্ত রাসায়নিক নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। এবার নির্দেশিকা জারি করে হু জানাল, ভুয়ো লিভারের ওষুধে ছেয়ে গেছে ভারত ও তুরস্কের বাজার। এই ওষুধের নাম ডেফিটেলিও। ভারতের ওষুধের দোকানগুলিতে খবর অনুযায়ী রমরম করে বিক্রি হচ্ছে এই জাল ওষুধ।

হু জানাচ্ছে, চলতি বছর মানে ২০২৩-এর এপ্রিল মাসে এই ব্র্যান্ডের জাল ওষুধ ধরা পড়ে বাজারে। ডেফিটেলিও ওষুধ হেপাটিক ভেনো-অকালসিভ রোগের চিকিৎসায় কাজে লাগে। লিভারের অসুখের থেরাপিতে, অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন থেরাপিতেও প্রয়োগ করা হয় এই ওষুধ। হু-র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ব্র্যান্ডের অনেক ভুয়ো ওষুধ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া সেইসব ওষুধ সাধারণের হাতে এলে এবং তা ব্যবহার করলে চরম ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকিও বাড়বে।

উল্লেখ্য, ডেফিটেলিও ড্রাগ জার্মানি বা অস্ট্রিয়া থেকে আমদানি করা হয়। ব্রিটেন থেকেও আসে এই ওষুধ। বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ, এই ব্র্যান্ডের ওষুধ নকল করে তা পাচার করা হচ্ছে ভারত, তুরস্কের বাজারে। ফলে ভুয়ো ওষুধে ছেয়ে গেছে ভারতের বাজার।

কাশির ওষুধ নিয়েও সাবধান করেছে হু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, আমরা যেসব কাফ সিরাপ ঘন ঘন খাই তার মধ্যেও নানারকম উপাদান থাকে যা মাত্রাতিরিক্ত শরীরে ঢুকলে বিপদ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু কাফ সিরাপে কোডেইন এবং ফোলকোডিন নামে উপাদান পাওয়া গেছে যা শরীরে ঢুকলে নেশার মতো বোধ হয়। স্নায়ুগুলো ঝিমিয়ে পড়তে থাকে। চিন্তাভাবনা গুলিয়ে যায়। ব্রেন সেলগুলোকে কব্জা করে ফেলে এই ধরনের রাসায়নিক উপাদান। চার বছরের কম বয়সের কোনও শিশুকে কাফ সিরাপ খাওয়ানো বিপজ্জনক। প্রাপ্তবয়স্ক যাদের কোমর্বিডিটি আছে বা সম্প্রতি কোনও অপারেশন হয়েছে তাদের শরীরে এইসব রাসায়নিক উপাদান ঢুকলে তা বিপদ আরও বাড়াবে। তাই সবদিক থেকেই সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।