সমলিঙ্গ বিয়ের অনুমোদন দিল হংকং-এর আদালত

হংকং এর চূড়ান্ত আপিল আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে সমলিঙ্গের বিবাহ সংক্রান্ত আবেদনের রায়ের কপি পড়ছেন সাংবাদিকরা (৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩)

হংকং-এর হাইকোর্ট চীনের মূল ভূখণ্ডের আইন বিভাগকে একটি “বিকল্প আইনি অবকাঠামো” সৃষ্টির অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে তারা সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দিতে পারে।

চূড়ান্ত আপিলের আদালত মঙ্গলবার গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকর্মী জিমি শামের আবেদনের পক্ষে রায় দিয়েছে। তিনি ২০১৩ সালে নিউইয়র্কে সমলিঙ্গের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। এই বিয়ের বৈধতা পাওয়ার জন্য তিনি নিজ দেশে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তার আবেদন দুটি নিম্ন আদালতে নাকচ করা হয়।

হাইকোর্ট সমলিঙ্গের দম্পতিদের বৈবাহিক সম্পর্ককে পুরোপুরি স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করলেও জানায়, সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের জন্য “কোনো এক ধরনের বৈধতার ব্যবস্থা করা, যাতে তারা নিম্ন মর্যাদাসম্পন্ন গোত্রের অন্তর্ভুক্ত এবং তাদের সম্পর্ক বৈধতা পাওয়ার যোগ্য নয়—এ ধরনের কোনো চিন্তা তাদের মনে না আসে।”

আদালতের এই আদেশ সরকারকে সমলিঙ্গের বৈবাহিক সম্পর্কের আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ২ বছর সময় বেঁধে দিয়েছে। এটাই প্রথম রায়, যেখানে আদালত সরাসরি এ বিষয়টি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

হংকং এর কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লেসবিয়ান, সমকামী, বাই-সেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার ও কুইয়ার (এলজিবিটিকিউ) গোত্রের সমলিঙ্গের বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার আন্দোলনের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। শীর্ষ মেধাবীদের এশিয়ার অর্থনৈতিক কেন্দ্র হংকং এ আসতে আকৃষ্ট করার জন্য সংগঠনগুলো এই উদ্যোগ নেয়।

একটি অনানুষ্ঠানিক প্রাথমিক নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ২০২০ সালে চীন সরকারের আরোপ করা হংকং জাতীয় নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয় শাম ও আরও বেশ কয়েকজন গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকর্মীর বিরুদ্ধে। তারা এখন আটকাধীন এবং বিচারের মুখোমুখি ।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেওয়া হয়েছে।