প্রথম আফ্রিকান জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন শুরু হচ্ছে। আফ্রিকার রাষ্ট্রপ্রধান এবং অন্যরা এমন একটি বৈশ্বিক ইস্যুতে শক্তিশালী কণ্ঠস্বর জোরদার করছে যা ১৩০ কোটি জনসংখ্যার মহাদেশকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে, যদিও তারা এতে সবচেয়ে কম অবদান রাখে।
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর সরকার এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন সোমবার মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশন শুরু করেছে। ১২টির বেশি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এতে যোগ দিচ্ছে। বিশ্বব্যাপী এই সম্মেলনের প্রভাব বিস্তার করতে এবং আরও অনেক বেশি অর্থায়ন ও সমর্থন আনতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তবু বিশ্বের ধনী দেশগুলোর চেয়ে পরিবেশবান্ধব উপায়ে তাদেরকে উন্নয়ন করতে বলা নিয়ে এবং তা করার জন্য যে অর্থনৈতিক সহায়তা তাদেরকে প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তা ঠিকমতো না পাওয়ায় তাদের কিছু হতাশা রয়েছে। অথচ বিশ্বের ধনী দেশগুলো দীর্ঘকাল ধরে জলবায়ুকে বিপন্ন করে এমন বেশিরভাগ দূষণ করেছে।
শীর্ষ সম্মেলনের বাইরের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জলবায়ু দূত জন কেরি এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন, গুতেরেস বলেন, তিনি “জলবায়ু সংকটের ক্ষেত্রে বিদ্যমান (অন্যতম) অবিচার” হিসেবে অর্থায়নকে অভিহিত করেন।
কেনিয়ার প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের সাথে সাথে শত শত মানুষ নাইরোবিতে জলবায়ু সংক্রান্ত “জনগণের পদযাত্রা”-য় যোগ দিয়েছিল। পদযাত্রায় তারা জীবাশ্ম জ্বালানিকে লক্ষ্যবস্তু করার দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল। যেসব প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছিলো সেগুলোর একটি হলো উগান্ডা এবং তানজানিয়ায় টোটাল এনার্জির পৃষ্ঠপোষকতায় ৮৯৭ মাইল (১ হাজার ৪৪৩ কিলোমিটার) দীর্ঘ ইস্ট আফ্রিকা ক্রুড অয়েল পাইপলাইন।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আফ্রিকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হবে ২৯০ বিলিয়ন থেকে ৪৪০ বিলিয়ন ডলার। এই পরিমাণ উষ্ণায়নের মাত্রার ওপর নির্ভর করে।