আগস্ট মাসে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬০ কোটি ডলার। রেমিট্যান্স-এই প্রবাহ, গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুসারে এ তথ্য জানা গেছে। গত জুন মাসে ২১৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ; জুলাই মাসে এই অংক ছিলো ১৯৭ কোটি। গত কয়েক বছরের হিসাব মতে, আগস্টে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ ২১ দশমিক ৫৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং পর্যবেক্ষকরা, এই পরিস্থিতির জন্য, হুন্ডির ব্যাপক ব্যবহারের দিকে ইঙ্গিত করছেন। সকল অনিয়মিত চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ বা গ্রহণকে রেমিট্যান্স হ্রাসের কারণ হিসাবে দেখছেন তারা।
পর্যবেক্ষকরা উল্লেখ করেছেন, “হুন্ডির ব্যবহার বাড়লে, নিয়মিত রেমিট্যান্স কমে যায়। গত মাসে ব্যাংকগুলোর তুলনায় কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি ছিলো। তাই, প্রবাসীরা কার্ব মার্কেটে উচ্চতর অফার পেতে আইনি চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়েছেন।”
ডলার সংকট ও বাজার স্থিতিশীলতার জন্য, প্রায় এক বছর ধরে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করছে ব্যাংকগুলো। এখন প্রবাসী আয়ের জন্য ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারের দাম দিচ্ছে ১০৯ দশমিক ৫ টাকা। রপ্তানি বিল নগদীকরণের সময়, প্রতি ডলারের মূল্য ধরা হচ্ছে ১০৯ দশমিক ৫ টাকা; আর আমদানি এবং আন্তঃব্যাংক লেনদেনের জন্য প্রতি ডলারের দাম ধরা হচ্ছে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা।