ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার প্রকাশিত এক সাক্ষাত্কারে, ২১ শতকের বাস্তবতার সাথে সঙ্গতি রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার উপর জোর দিয়েছেন তিনি।
আগামী সপ্তাহান্তে ২০টি বড় অর্থনীতির গ্রুপ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদি, সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, "২০ শতকের মাঝামাঝি পদ্ধতি ২১ শতকে বিশ্বকে সেবা দিতে পারে না।"
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল একটি দেশের নেতা মোদি।
তিনি আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি২০-র পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য সাক্ষাত্কারে তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
দুই দিনের ওই শীর্ষ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান পর্যন্ত অনেক হাই-প্রোফাইল অতিথি যোগ দেবেন।
৭২ বছর বয়সী মোদি বলেছেন, ভারত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করে এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায়, যাতে একটি দেশের মুদ্রাস্ফীতি বিরোধী নীতি অন্য কোন দেশের ক্ষতি না করে।
মুদ্রাস্ফীতি ভারতের অনেক দরিদ্র মানুষকে কঠিনভাবে আঘাত করছে। রয়টার্সের জরিপে অর্থনীতিবিদরা এই ত্রৈমাসিকের জন্য তাদের মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস তীব্রভাবে বাড়িয়েছেন। অন্তত অক্টোবর পর্যন্ত এই মূল্য বৃদ্ধি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৬% সীমার উপরে থাকবে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
মোদি সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৈশ্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "সন্ত্রাসীরা ডার্ক নেট, মেটাভার্স, ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে ঘৃণ্য উদ্দেশ্য পূরণের জন্য জাতির সামাজিক কাঠামোতে ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে।"