চাঁদের মাটিতে ভারতের মুন রোভারের বিচরণ পূর্ণ

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) দেওয়া এই ছবিতে প্রজ্ঞান রোভারের ন্যাভিগেশন ক্যামেরায় ধারণকৃত বিক্রম ল্যান্ডারের ছবি (৩০ আগস্ট, ২০২৩)

ভারতের মুন রোভার চাঁদের পৃষ্ঠে চলার অভিযান শেষ করার পর একে এখন স্লিপ মোডে রাখা হয়েছে। ভারতের মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, ২ সপ্তাহেরও কম সময় আগে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের ঐতিহাসিক অর্জনের পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) শনিবার দিনের শেষভাগে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, “রোভার তার দায়িত্বগুলো শেষ করেছে। এটি এখন নিরাপদে পার্ক করা আছে এবং একে স্লিপ মোডে রাখা হয়েছে।” চাঁদের ওই অংশে দিনের আলো নিভে আসছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, রোভারের ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং এর সংগৃহীত তথ্যগুলো ইতোমধ্যে এর ল্যান্ডারের মাধ্যমে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে।

চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডার ও রোভারটি মাত্র ১ চন্দ্র দিবস কার্যক্রম চালাবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছিল, যা পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান।

বিবৃতিতে বলা হয়, “এ মুহূর্তে, ব্যাটারির চার্জ পূর্ণ আছে। ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ এ আবারও আলো পাওয়ার জন্য সৌর প্যানেলটিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমরা আশা করছি, আরও এক দফা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য (রোভারকে) জাগিয়ে তোলা যাবে।”

রোভারটি চন্দ্রপৃষ্ঠে হিমায়িত পানি খুঁজে পেয়েছে কী না, সে বিষয়ে কিছু এখনো জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, হিমায়িত পানি পাওয়া গেলে তা ভবিষ্যৎ মহাকাশ অভিযাত্রীদের সুপেয় পানির সম্ভাব্য উৎস বা রকেট জ্বালানি তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

এ সপ্তাহের শুরুতে মহাকাশ সংস্থাটি জানায়, রোভার চাঁদের বুকে সালফারের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে এবং আরও বেশ কিছু উপকরণ চিহ্নিত করেছে। রোভারের লেসার-নির্ভর স্পেকট্রোস্কোপ যন্ত্রটি অ্যালুমিনিয়াম, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ক্রোমিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, অক্সিজেন ও সিলিকন খুঁজে পেয়েছে বলে সংস্থাটি জানায়।

ভারতের মহাকাশ কার্যক্রম ১৯৬০ থেকে চলছে। এ সময়ে ভারত নিজেদের ও অন্যান্য দেশের জন্য স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছে এবং ২০১৪ সালে সাফল্যের সঙ্গে মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে একটি স্যাটেলাইট বসিয়েছে। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ভারত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তাদের প্রথম অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।