চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৮ শতাংশ

চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৮ শতাংশ

বিগত বছরগুলিতে ভারতের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির পরিস্থিতি নিয়ে লাগাতার বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। অবশেষে চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন তথা জিডিপি বৃদ্ধির হার বাড়ল। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি বেড়েছে ৭.৮ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক বৃহস্পতিবার ৩১ অগাস্ট এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। গত আর্থিক বছরের শেষ ত্রৈমাসিকে দেশের মোট উৎপাদন বৃদ্ধির হার ছিল ৬.১ শতাংশ। সেই তুলনায় বৃদ্ধির হার উৎসাহব্যঞ্জক বলেই মত অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের।

তাদের একাংশের মতে, এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল না। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াও অনুমান করেছিল যে প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৮ শতাংশ হবে।

এ ব্যাপারে রয়টার্স ভোটাভুটি করেছিল। সেখানেও গরিষ্ঠসংখ্যক অর্থনীতিবিদের মত ছিল যে বৃদ্ধির হার ৭.৭ শতাংশ ছুঁতে পারে। তবে একটু বেশি উচ্চকাঙ্খী ছিলেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অর্থনীতিবিদরা। তারা মনে করেছিলেন বৃদ্ধির হার হতে পারে ৮.৩ শতাংশ।

কোভিডের পর গত আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ১৩.৫ শতাংশ। সেই তুলনায় এবারের বৃদ্ধি কম। তবে অর্থনীতিবিদদের অনেকের মতে, হতাশার কারণ নেই। উৎসবের মরশুম আসছে। পরের ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার আরও বাড়বে। মূলত পরিকাঠামো ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ইস্পাত, বিদ্যুৎ, সিমেন্টের উৎপাদন ভাল রকম বাড়ছে।

তবে দুটো বিষয় এখনও অর্থনীতিবিদদের চিন্তায় রেখেছে। তা হল মুদ্রাস্ফীতির হার এবং খামখেয়ালি আবহাওয়া। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ঘরোয়া বাজারে চাহিদা বাড়ছে। তাই আগামী দিনে বৃদ্ধির হার উর্দ্ধমুখী থাকবে বলেই আশা করা যায়।