হংকং-এর সাবেক ক্যান্টোপপ তারকার রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে কারাদণ্ড

হংকং-এর চ্যাটার গার্ডেনে একটি সমাবেশের সময় বিক্ষোভকারীরা “গ্লোরি টু হংকং” গাইছে। ২৬ অক্টোবর, ২০১৯। ফাইল ছবি।

হংকং-এর একজন গায়ক এবং গণতন্ত্র কর্মীকে রাষ্ট্রদ্রোহ ও অর্থ পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করার পরে বৃহস্পতিবার দুই বছরের বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ড দেয়া হয়।

বেইজিং ২০১৯ সালে ঐ চীনা শহরের গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভ দমন করার এবং জাতীয় নিরাপত্তা আইন আরোপ করার আগে ক্যান্টোপপ বয়ব্যান্ড “ই-কিডস”-এর প্রাক্তন সদস্য টমি ইউয়েন এই আন্দোলনের একজন স্পষ্টবাদী সমর্থক হয়ে ওঠেন।

বৃহস্পতিবার বিচারক আর্নেস্ট লিন বলেন, ইউয়েন সরকার বিরোধী বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে “সমাজের ক্ষতি” করেছেন এবং তাকে ২৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

ইউয়েনকে (৪৩) ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তখন থেকে তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। গত মাসে তিনি দোষ স্বীকার করেছেন।

এর আগে প্রসিকিউটররা বলেছিলেন, ইউয়েন তার মিথ্যা চ্যারিটি আবেদনের অংশ হিসেবে প্রায় ৯২ হাজার ডলার পাচার করেছেন।

২০২০ সাল থেকে ৩০ জনের বেশি মানুষকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব ছিলেন না।

আইনটি এমন কার্যক্রম, বক্তৃতা বা প্রকাশনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে যেগুলোর “বিদ্রোহমূলক উদ্দেশ্য” আছে বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে “ক্ষোভ বা অসন্তোষ” প্রকাশ করা, “অসন্তোষের অনুভূতি” প্রচার করা এবং সহিংসতাকে উস্কে দেয়ার মতো ব্যাপারগুলো অন্তর্ভুক্ত।

এই অপরাধে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ এবং বেইজিং-এর আরোপিত নিরাপত্তা আইনের “অত্যধিক বিস্তৃত ব্যাখ্যা এবং স্বেচ্ছাচারী প্রয়োগ” সম্পর্কে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

হংকং-এর কর্মকর্তারা ২০১৯ সালের অস্থিরতার পরে শৃঙ্খলা এবং স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করার জন্য আইনটিকে প্রয়োজনীয় বলে অভিহিত করেন।