উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী পাল্টা-হামলা মহড়ার অংশ হিসেবে পুরো দক্ষিণ কোরিয়া দখলের মহড়া দিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সমস্ত সামরিক বাহিনীকে নিয়ে এমন মহড়া এর আগে কখনও হয়নি বলে জানিয়েছে এ দেশের সরকারি মিডিয়া। এই কর্মকাণ্ডের পর রাতারাতি "কৌশলগত পারমাণবিক হামলা মহড়া" হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী উলচি ফ্রিডম শিল্ড নামে ১১ দিনের প্রতিরক্ষামূলক মহড়া শেষ করেছে। তারই প্রতিক্রিয়ায় এই মহড়া বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রীয় সংবাদ সংস্থা। এই বিষয়ে তারা দুটি পোস্ট দিয়েছে। প্রসঙ্গত, উলচি ফ্রিডম শিল্ড বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মাপের মহড়া ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার এই কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত মহড়ার পাশাপাশি কয়েক ডজন ফিল্ড মহড়াও দেওয়া হয়। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হামলার বিরুদ্ধে সমন্বিত জবাব দেওয়ার দিকে জোর দেওয়া হয়েছিল এই মহড়ায়।
কেসিএনএ-র চিত্রগুলিতে দেখা গেছে, চশমা-পরা কিম জং উন অস্পষ্ট মানচিত্রের পটভূমিতে যুদ্ধ পরিকল্পনা পর্যালোচনা করছেন। "গোটা সেনাবাহিনীযুক্ত এই কম্যান্ড মহড়া" মঙ্গলবার খতিয়ে দেখেন তিনি। কেসিএনএ বলেছে, "শত্রুপক্ষের আচমকা সশস্ত্র আক্রমণকে প্রতিরোধ করে এবং সার্বিক পাল্টা হামলা চালিয়ে দক্ষিণের সমগ্র অঞ্চল দখল করে নেওয়াই এর লক্ষ্য।"
পাশাপাশি বলা হয়েছে, কিমের সাথে ছিলেন উত্তর কোরিয়ার কোরীয় পিপলস আর্মি মার্শাল পাক জং চন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাং সুন নাম। কিম পরামর্শের দীর্ঘ তালিকা দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে, "মূল সামরিক কেন্দ্র, সামরিক বন্দর, বিমান ঘাঁটি ও প্রধান জায়গাগুলোতে তীব্র হামলা চালানো যা ধ্বংস হলে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ধারাবাহিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে।"
এক পৃথক প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, উলচি ফ্রিডম শিল্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মোতায়েন করা বি-১বি বোমারুর পাল্টা জবাবে তারা বুধবার মাঝরাতের আগে দুটি কৌশলী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। এটি "কৌশলী পারমাণবিক হামলা মহড়ার" অংশ।