আমিনির মৃত্যুবার্ষিকীর আগে ইরানে ধরপাকড় বৃদ্ধি, বলছেন কর্মীরা

তেহরানের নারীরা ২০২২ সালের ১ অক্টোবর মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদ করছেন। এপি নিযুক্ত নয় এমন এক ব্যক্তির তোলা ছবি এবং ইরানের বাইরে এপি থেকে প্রাপ্ত। ফাইল ছবি।

মাহসা আমিনির মৃত্যুর এক বছর পূর্তিকে সামনে রেখে ইরানে অভিযান চলছে। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, প্রচারক এবং গত বছরের বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়দের তারা গ্রেপ্তার করছে। সক্রিয়কর্মীরা একথা জানায়।

২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে ইরানি কুর্দি নারী মাহসা আমিনির (২২) মৃত্যু কয়েক মাসের প্রলম্বিত বিক্ষোভের জন্ম দেয়। বিক্ষোভে ইরানের ইসলামী ব্যবস্থার অবসানের আহ্বানও অন্তর্ভুক্ত ছিল। মাহসা আমিনিকে নারীদের জন্য প্রযোজ্য কঠোর পোশাক নীতির লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সত্ত্বেও সরকারের একটি হামলার পর বিক্ষোভ অনেকাংশে হ্রাস পায়। জাতিসংঘের মতে, ওই হামলায় হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়। সক্রিয় কর্মীদের মতে, ওই হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছে।

হিউম্যান রাইটস এক্টিভিস্ট নিউজ এজেন্সি বা এইচআরএএনএ-এর মতে, গত বছর বিক্ষোভের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে একটি গিলান প্রদেশে ১১ জন নারী অধিকার কর্মীকে আটক করা হয়েছিল।

এদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, আন্দোলনের দমন-পীড়নে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদেরকে তাদের প্রিয়জনের ভাগ্যের বিষয়ে “নীরবতা এবং দায়মুক্তি” প্রয়োগ উদ্দেশ্যে “নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং আটক” করা হয়েছে।

এদিকে নরওয়ে ভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস বলেছে, এই বছর ইরানে ৪৮৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। “সমাজে ভীতি সৃষ্টি করা এবং আরও বিক্ষোভ প্রতিরোধ করার” লক্ষ্যে এই মৃত্যুদণ্ডগুলো কার্যকর করা হয়েছে।

ঘামি সতর্ক করে যে, হামলার মুখে “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা” “সুশীল সমাজেরমুখ বন্ধ রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে অনুমোদন” দেয়ার সমতুল্য যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।