ইসলামপন্থী জঙ্গিদের দুই সপ্তাহের অবরোধের ফলে প্রাচীন শহর টিমবাকটুতে খাদ্য এবং সহায়তার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। উত্তর ও পূর্ব মালির বেশিরভাগ অংশে নিরাপত্তার অবনতি দেখা দিয়েছে। শহরটির মেয়র এবং বাসিন্দারা একথা জানায়।
টিমবাকটু ইউনেস্কো স্বীকৃত একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং সাহারা মরুভূমির প্রান্তে ইসলামি শিক্ষার একটি বিশেষ অঞ্চল। একটি বিদ্রোহের পর ২০১৩ সালে ফরাসি বাহিনী এটিকে জঙ্গিদের হাত থেকে মুক্ত করার পর থেকে এখানে সহিংসতা চলছে।
আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় সহযোগীদের দ্বারা চলমান অস্থিরতা গত এক বছরে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির সামরিক নেতারা ফরাসি সেনাদের বের করে দেয়ার, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের চলে যেতে বলার এবং রাশিয়ার বেসরকারি সামরিক ঠিকাদার ভাগনার গ্রুপের সাথে জোট করার পরে আরও তীব্র হয়েছে।
জেএনআইএম নামে পরিচিত স্থানীয় একটি আল কায়েদার সহযোগী সংগঠন মোটামুটি ১৩ আগস্ট থেকে টিমবাকটুতে যাওয়ার রাস্তাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। বাসিন্দারা বলেছেন, প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের প্রত্যন্ত শহরে মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বছরের পর বছর সহিংসতার ফলে শহরটির অর্থনীতি ধসে পড়েছে।
জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা গত সপ্তাহে বলেছে, কিছু ত্রাণকর্মী নদীপথে শহরে পৌঁছাতে পারেনি এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ ফুরিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের ত্রাণ শাখা বলেছে, কিছু সহায়তা গোষ্ঠী কার্যক্রম স্থগিত করেছে।
মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন এমআইএনইউএসএমএ-কে ক্ষমতাসীন জান্তা জুনে চলে যেতে বলার পর উত্তর অঞ্চল থেকে তাদের প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া চলছে। নিরাপত্তার অবনতির কারণে এই মাসে প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করতে তারা বাধ্য হয়েছিল।