ভারতের দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতে প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা ক্লাস শুরুর আগে স্কুলেই জলখাবার বা ব্রেকফাস্ট সারতে পারবে। রাজ্যের ডিএমকে সরকার ৩১ হাজার প্রাইমারি স্কুলের ১৭ লাখ পড়ুয়াকে ক্লাস শুরুর আগে জলখাবার দেওয়ার প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, ব্রেকফাস্ট খেয়ে ক্লাস শুরু হবে। মিড-ডে মিল খেয়ে বাড়ি যাবে পড়ুয়ারা।
গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন কয়েকটি স্কুলে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রেকফাস্ট দেওয়ার প্রকল্প চালু করেছিলেন। ১৫ সেপ্টেম্বর হল ডিএমকে-র প্রতিষ্ঠাতা সিএন আন্নাদুরাইয়ের জন্মদিন।
গত শুক্রবার ২৫ অগাস্ট স্ট্যালিন গিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর নাগাপট্টনম জেলার থিরুক্কুভালাই গ্রামে। থিরুক্কুভালাই হল স্ট্যালিনের বাবা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত এম করুণানিধির জন্মস্থান। সেখানে একটি স্কুলে বাচ্চাদের জলখাবার খাইয়ে স্ট্যালিন গোটা রাজ্যে প্রকল্পের সূচনা করেন। তামিলনাড়ু সরকার চলতি বাজেটে এই খাতে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে।
প্রসঙ্গত, দেশে মিড-ডে মিল চালুতেও দিশা মিলেছিল তামিলনাড়ু থেকেই। সেই কৃতিত্ব রাজ্যের আর এক মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইএডিএমকে নেত্রী প্রয়াত জে জয়ললিতার। তামিলনাড়ু সরকারের মিড-ডে মিল প্রকল্পকেই গোটা দেশে চালু করতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলিকে বলেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং সুপ্রিম কোর্ট। যদিও স্বাধীনতার আগে তৎকালীন মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির কিছু এলাকায় ১৯২২ সালে মিড-ডে মিল প্রথম চালু হয়।
ব্রেকফাস্ট স্কিম প্রসঙ্গে স্ট্যালিন বলেন, "গত বছর চেন্নাইয়ের একটি স্কুলে গিয়েছিলাম। বাচ্চাদের মুখে শুনলাম, অনেকেই সকালে কিছু না খেয়ে স্কুলে আসে। তখনই ঠিক করেছিলাম, বাচ্চারা আগে খাবে তারপর ক্লাসে পঠনপাঠন শুরু হবে।" স্ট্যালিন বলেন, "এই প্রকল্প চালু করার উদ্দেশ্য মুখ্যত দুটি। বাচ্চাদের শরীরে পুষ্টি বাড়ানো। দুই স্কুলে হাজিরা বৃদ্ধি। গত বছর কয়েকটি স্কুলে এই প্রকল্প পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার পর সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বাচ্চাদের হাজিরা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।"