আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি নভেম্বরে পাওয়ার প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের আইএমএফের লোগো।

চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে, আইএমএফ অনুমোদিত ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাবে বলে প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ। সোমবার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কর্মকর্তারা বেশ কয়েকবার ঢাকা সফর করেছেন এবং বিভিন্ন খাতে সন্তোষজনক অর্জন দেখতে পেয়েছেন। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়া হবে।’

ইতোমধ্যে, বাংলাদেশ কিছু খাতে সংস্কার করেছে এবং আইএমএফের প্রয়োজনীয় শর্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সর্বশেষ তথ্য হালনাগাদ করেছে। তাই ঋণের পরবর্তী কিস্তি সময়মতো পাওয়ার বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আইএমএফের নির্ধারিত মানদণ্ডের নিচে নেমে এসেছে। এ কারণে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইএমএফের সাবেক অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর। তবে, ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়া হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সম্প্রতি আইএমএফ-এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল একাধিক বৈঠক করেছে। ঋণের দ্বিতীয় ধাপ যথাসময়ে ছেড়ে দেয়া হবে বলে বৈঠকে আশ্বস্ত করেছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।

গত ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফ-এর ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাত কিস্তিতে আইএমএফের পুরো ঋণ পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।