যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য জর্জিয়ায় নির্বাচনের ফল পালটে দেয়ার মামলায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পসহ ১৯ জন্য অভিযুক্ত আটলান্টার কারাগারে হাজির হন। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই তারা সেখানে যান। এর আগে, হাজির হওয়ার জন্য শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলো পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফুলটন কাউন্টি কারাগারে ট্রাম্প হাজির হওয়ার পর, শুক্রবার আরো সাত জন অভিযুক্ত পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। ট্রাম্পের অন্য সহ-অভিযুক্তরা সপ্তাহের শুরুতে কারাগারে হাজিরা দেন। এখানে ট্রাম্প-এর মাগশট নেয়া হয়। তিনিই হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট, যার মাগশট নেয়া হলো।
আদালতের রেকর্ডে দেখা যায়, ১৯ অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে একজন ছাড়া সকলেই আদালত কর্মকর্তাদের নির্ধারণ করা শর্তে সম্মত হন এবং মামলা দায়েরের পর কারাগার থেকে বের হওয়ার অনুমতি পান। ফুলটন কাউন্টির এক নির্বাচনী কর্মীকে হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত হ্যারিসন উইলিয়াম প্রেসকট ফ্লয়েড বৃহস্পতিবার নিজেকে কারাগারে সোর্পদ করেন।এর পর তিনি কারাগারেই রয়ে যান।
ফ্লয়েডকে জামিন দেয়া হয়নি, নাকি তিনি জামিনের জন্য প্রয়োজনী অর্থ জোগাড় করতে পারেননি তা স্পষ্ট নয়। ফেডারেল আদালতের রেকর্ডে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের পক্ষে গঠন করা ব্ল্যাক ভয়েসেস গ্রুপের সঙ্গে সক্রিয় ফ্লয়েডকে তিন মাস আগে এফবিআই এজেন্টদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ব্যবহার করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। এই এফবিআই এজেন্টরা তাকে একটি গ্র্যান্ড জুরির সামনে হাজির করার জন্য আদালতের আদেশ তামিল করছিলেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে দুইলাখ ডলার জামিন-মূল্যে মুক্তি পান ট্রাম্প। এর আগে, তার আইনজীবীরা ফুলটন কাউন্টির প্রসিকিউটর ফানি উইলিস-এর সাথে আলোচনা করে এই জামিন-মূল্য ঠিক করেন।
জর্জিয়ায় ২০২০ সালের পুনঃনির্বাচনে পরাজয়ের পর নির্বাচনী ফল পালটে দেবার চেষ্টার সঙ্গে জড়িত ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আটলান্টা কারাগারে প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান করতে হয় এই সাবেক প্রেসিডেন্টকে। গত পাঁচ মাসের মধ্যে, এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো ট্রাম্পকে গ্রেফতার করা হলো।
আটলান্টা বিমানবন্দরে বিমানে ওঠার আগে ট্রাম্প তার গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদদাতাদের বলেন, "এখানে যা ঘটেছে তা ন্যায়বিচারের প্রতি পরিহাস। আমরা কোনো ভুল করিনি; আমি কোনো ভুল করিনি এবং এটা সবাই জানে। তারা যা করছে, তা হলো নির্বাচনে হস্তক্ষেপ।“
২০২১ সালের গোড়ার দিকে তার একক মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে, মেয়াদকালে এবং পরে; তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য চারটি মামলায় মোট ৯১ টি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন ট্রাম্প।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি ও রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।