পাকিস্তানি রুপির রেকর্ড পতন

ফাইলঃ ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আমেরিকান ডলারের ভাঙ্গানোর সময় এক মুদ্রা ব্যবসায়ী পাকিস্তানি রুপির নোট গুনছেন।

পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেশটির মুদ্রার মূল্য ডলারের বিপরীতে ৩০০ রুপির বেশী নেমে গিয়েছে যার ফলে ভোক্তারা ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতির মুখোমুখি হওয়ায় দৈনন্দিন পণ্যগুলির মূল্য আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রুপির মূল্য দুই দিনের রেকর্ড পতনের পরে বৃহস্পতিবার সর্বসাম্প্রতিক এই পতন ঘটে। গত বছর পাকিস্তানি রুপি আমেরিকান ডলারের বিপরীতে তার মূল্যের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি হারিয়েছে এমন এক সময়ে যখন পাকিস্তান তার ক্রমবর্ধমান ঋণ সংকট নিয়ে লড়ে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানে ডলারের রিজার্ভ কমে যাওয়ায় সরকার গত বছর আরোপিত আমদানি বিধিনিষেধ জুনে তুলে নেওয়ার ফলে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেলে রুপির অবমূল্যায়ন ঘটে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৩০০ কোটি ডলারের বেইলআউট বা ঋণ মওকুফ পাওয়ার জন্য ইসলামাবাদকে আমদানি উন্মুক্ত করার শর্ত আরোপ করা হয়ে ছিল। বেশ কয়েক দফা কঠোর আলোচনার পরে জুলাই মাসে এই চুক্তিটি সম্পাদন করা হয় , আর সেই সময় ঋণদাতা ব্যাপক অর্থনৈতিক সংস্কারের দাবি করেছিল।

তবে মুদ্রাস্ফীতি ২৯ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছানোর ফলে সাধারণ পাকিস্তানিরা জীবনধারণের জন্য সংগ্রাম করে চলেছে। আইএমএফ তহবিল সুরক্ষিত করার জন্যভর্তুকি হ্রাসের ফলে জ্বালানির দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং চাহিদা হ্রাস সত্ত্বেও বিদ্যুৎ-এর দাম আরও বেড়েছে।