সীমান্ত-উত্তেজনা প্রশমনে উদ্যোগ নিতে সম্মত ভারতের মোদী এবং চীনের শি

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা (মধ্য-ডানে) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে কথা বলছেন। সেদিকে তাকিয়ে আছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা (বামে) ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী; জোহানেসবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা; ২৪ আগস্ট ২০২৩।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং চীনের নেতা বৃহস্পতিবার দুই দেশের বিতর্কিত সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্যোগকে আরো জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন। সেই সঙ্গে, সেখানে মোতায়েন করা তাদের হাজার হাজার সেনা সদস্যকে প্রত্যাহারেও রাজি হয়েছেন। এ কথা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্মকর্তা।

জোহানেসবার্গে ব্রিকস-এর শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে, ভারতের প্রধামনন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠক করেন। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলো নিয়ে গঠিত ব্রিকস-এর এই শীর্ষ সম্মেলনে, সৌদি আরব ও ইরানসহ ছয়টি দেশকে এই অর্থনৈতিক জোটে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা ভারতীয় সংবাদদাতাদের বলেন, শি-র সাথে এক চটজলদি বৈঠকে মোদী, অমীমাংসিত সীমান্ত সমস্যা নিয়ে তাদের উদ্বেগের বিষয় তুলে ধরেন।

এই বিতর্কিত সীমান্ত নিয়ে তিন বছর ধরে ভারত ও চীনের মধ্যে অচলাবস্থা চলছে। এ কারণে, লাদাখ এলাকায় হাজার হাজার চীনা ও ভারতীয় সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। তিন বছর আগে এক সংঘর্ষে ঐ অঞ্চলে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য এবং চার জন চীনা সৈন্য নিহত হয়েছিলো।

কোয়াত্রা বলেন, দুই নেতা উত্তেজনা প্রশমন উদ্যোগকে জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন। তবে, মোদীর উদ্বেগ ঘিরে শি-র প্রতিক্রিয়া কেমন ছিলো, বা ভারতের প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি তিনি।

পরে,নয়াদিল্লিতে অবস্থিত চীনা দূতাবাস তাদের বিদেশ মন্ত্রকের একটি বিবৃতি এক্স (আগেকার টুইট) করে। এতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট শি জোর দিয়েছেন যে, চীন-ভারত সম্পর্কের উন্নতি তাদের অভিন্ন স্বার্থের জন্য প্রয়োজন।আর এটা বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্যও সহায়ক।

বিবৃতিতে বলা হয়, “দুই পক্ষকেই তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সামগ্রিক স্বার্থের কথা মাথায় রাখা উচিত এবং এই সীমান্ত সমস্যা যথাযথভাবে সামলানো উচিত; যাতে যৌথভাবে সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা যায়।"