সিরিয়ার সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের ঘাঁটি ও অস্ত্রের গুদামে তাদের হামলা বাড়িয়েছে। নিশানা করা হয়েছে কয়েক ডজন যোদ্ধাকে। বুধবার সহিংসতা বৃদ্ধির মধ্যে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও রাশিয়ার বিমানবাহিনী উভয়েই, “আলেপ্পো, লাতাকিয়া ও হামার অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের সদর দপ্তর লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি বিমান ও গোলন্দাজ হামলা চালিয়েছে”।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এসব হামলায় কয়েক ডজন যোদ্ধা “নিহত বা আহত” হয়েছে।
মন্ত্রক আরও জানায়, “সন্ত্রাসী” ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন লঞ্চার এবং গোলাবারুদের গুদাম—সব কিছুকেই নিশানা করা হয়।
সিরিয়ার আল-কায়দার সাবেক সহযোগীর নেতৃত্বাধীন জিহাদি হায়াত তাহরির আল-শাম গোষ্ঠী (এইচটিএস) ইদলিব প্রদেশের পাশাপাশি আলেপ্পো, হামা ও লাতাকিয়া-সংলগ্ন প্রদেশের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করে।
যুদ্ধ পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের মতে, জুন মাস থেকে রাশিয়ার বিমান হামলায় দুই শিশুসহ ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক এবং প্রায় ২৮ জন জিহাদি নিহত হয়েছে।
সিরিয়ার সংঘাতে ২০১৫ সাল থেকে মস্কো হস্তক্ষেপ করছে। ১২ বছর ধরে চলা এ গৃহযুদ্ধের শুরুতে বিদ্রোহীদের কাছে হারানো দামেস্কের বেশির ভাগ অঞ্চল ফিরে পেতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশাল-আল আসাদ সরকারকে সাহায্য করেছে এই রুশ হস্তক্ষেপ।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলে এইচটিএস ও তাদের মিত্রদের ড্রোন হামলার প্রতিশোধ হিসেবে আসাদের মিত্র মস্কোর ক্রমবর্ধমান হামলাকে চিহ্নিত করেছেন।
আবদেল রহমান আরও বলেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী প্রধানত ড্রোন তৈরির সন্দেহে এইচটিএসের ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
এইচটিএস নিয়মিতভাবে সেনা ও সরকারপন্থী বাহিনীর ওপর মারাত্মক হামলা চালায়। রাশিয়া বারবার এই দেশের উত্তর-পশ্চিমে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের ইদলিব এলাকায় হামলা চালিয়েছে।