জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানানগাগওয়া দ্বিতীয় ও শেষ মেয়াদের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দেশটিতে সহিংস ও বিতর্কিত ভোটের ইতিহাস রয়েছে।
২০১৭ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের স্বৈরচারী শাসক রবার্ট মুগাবেকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এটি দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন।
নির্বাচনে ১২ জন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রয়েছেন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে “কুমির'” নামে পরিচিত ৮০ বছর বয়সী নানগাগওয়া এবং ৪৫ বছর বয়সী বিরোধী দলীয় নেতা নেলসন চামিসার মধ্যে। ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে নানগাগওয়া অল্প ব্যবধানে চামিসাকে পরাজিত করেছিলেন।
ধারণা করা হচ্ছে ক্ষমতাসীন জানু-পিএফ পার্টির ৪৩ বছরের ক্ষমতা দখলের ইতিহাস বদলে দিতে পারেন চামিসা।
যদি কোনও প্রার্থী প্রথম রাউন্ডে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তবে আগামী ২ অক্টোবর আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন ৩৫০ আসনের সংসদ এবং প্রায় ২,০০০ স্থানীয় কাউন্সিলারের পদ নির্ধারণ করবে।
নির্বাচনের আগে মুদ্রা সংকট, খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, দুর্বল জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং আনুষ্ঠানিক চাকরির অভাবের কারণে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিরোধী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই পরিস্থিতিতে সেখানে ভিন্নমতকে চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছে।
নানগাগওয়া মুগাবের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। ২০১৭ সালের অভ্যুত্থানের আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি নিজেকে একজন সংস্কারক হিসাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করলেও অনেকেই তাকে স্বৈরশাসকের চেয়েও বেশি দমনমূলক বলে অভিযুক্ত করেছেন।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত দুই দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। নানগাগওয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে মুগাবের মতোই ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন যে, তারা তার সরকারকে উৎখাত করতে চাইছে।
নির্বাচনের আগে, ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকরা ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার অভিযোগে কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রপরিচালিত মিডিয়ার সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
বেশ কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিক ও স্থানীয় সুশীল সমাজের সদস্যদের স্বীকৃতি না দেয়ার জিম্বাবুয়ের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রক।