এবার মিয়ানমারের জেট ফুয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ভবন। (ফাইল ছবি)

বুধবার মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আরও সম্প্রসারিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে বিদেশী কিছু কোম্পানি এবং ব্যক্তি, যারা দেশটির সামরিক জান্তাকে জেট জ্বালানি সংগ্রহ করতে সহায়তা করে। ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকার তাদের জনগণের উপর বিমান হামলা চালানোর প্রেক্ষিতে জেট জ্বালানির উপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।

ট্রেজারি বিভাগ তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় দু'জন ব্যক্তি, খিন ফিউ উইন এবং জাও মিন তুন, পাশাপাশি তাদের সাথে সম্পৃক্ত তিনটি সংস্থাকেও যুক্ত করে, যারা সেনাবাহিনীর জন্য জেট জ্বালানী সংগ্রহ ও বিতরণের সাথে জড়িত। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা দখল করে।

ট্রেজারি বিভাগ বলেছে, তারা একটি প্রজ্ঞাপন জারি করছে। ওই প্রজ্ঞাপনে, মিয়ানমারের জেট ফুয়েল সেক্টরকে চিহ্নিত করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশের কথা বলা হয়েছে। ওই নির্বাহী আদেশের আওতায় দেশটির বাইরের কোম্পানিগুলিকে দেশটির প্রতিরক্ষা খাতের সাথে কাজ করতে বাধা দেবে।

দেশটির সাবেক নাম ব্যবহার করে, ট্রেজারি বিভাগ বলেছে, মিয়ানমারের জান্তা "বার্মার জনগণকে দমন করার জন্য হিংসাত্মক বিমান হামলার উপর ক্রমবর্ধমানভাবে নির্ভর করছে।" সাম্প্রতিক সময়ে বিমান হামলায় বেসামরিক লোকদের হত্যার প্রসঙ্গ টেনে ট্রেজারি বিভাগ আরও বলেছে, অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক জান্তা এ পর্যন্ত অন্তত ৩৯০০ জনেরও বেশি বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে।

মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তারা, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব না দিয়ে বলেছে, তারা বিদ্রোহীদের টার্গেট করছে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলি মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের উপর কয়েক দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের অভিযোগ, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নেতৃত্বে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করেছিল সামরিক জান্তা, এছাড়া তারা হাজার হাজার বিরোধীকে হত্যা করেছে এবং একটি তিক্ত বিদ্রোহের জন্ম দিয়েছে।

ওয়াশিংটন গত জুন মাসে দুটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাঙ্কের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, রাজস্ব-উৎপাদনকারী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগগুলি ছাড়াও, মুদ্রা বিনিময়ের জন্য ওই ব্যাঙ্ক দুটি ব্যবহৃত হতো। ওই পদক্ষেপে বিদেশী মুদ্রায় জান্তার নাগাল পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে কর্মীরা আশা করেছিল।