বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দশম দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু হয়েছে। বুধবার (২৩ অগাস্ট) এই সংলাপ শুরু হয়। শেষ হবে বৃহস্পতিবার(২৪ অগাস্ট)।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় আইএসপিআর।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নবম দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপ ২০২২ সালের ১৬ থেকে ২০ মে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশ দুটির প্রথম দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালে।
এতে আরও বলা হয়, এই সংলাপের লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতার ভিত্তি সুদৃঢ়। এই সম্পর্ক বহুমাত্রিক, বহুমুখী ও সর্বদা বিকশিত। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে প্রতিরক্ষা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণে সহযোগিতার প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত সহায়তার বিষয়টি সুস্পষ্ট। প্রতি বছর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অনেক সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং যুক্তরাষ্ট্র সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকে। দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন এবং সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে এক সঙ্গে কাজ করে আসছে।
এ ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সামরিক সফর বিনিময় সামরিক সহযোগিতার একটি অন্যন্য বৈশিষ্ট্য।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সংলাপে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা ও সামরিক সহযোগিতা, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, দুর্যোগ মোকাবিলা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম এবং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ, পরিদর্শন, যৌথ অনুশীলন ও মোতায়েন, কর্মশালা বিষয়ে আলোচনা হবে।
চলতি বছরের দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনী বিভগের অপারেশনস ও পরিকল্পনা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জেমস থমাস জন।
এ ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের প্রধান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।