গত বছর পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশব্যাপী বিক্ষোভ চলাকালীন আধা-সামরিক বাহিনী স্বেচ্ছাসেবককে হত্যার দায়ে দুজন লোককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় এবং তা কার্যকর করা হয়। ওই দুজনকে সহায়তা করার অভিযোগে ইরান ৭ জন পুরুষ এবং ১ জন নারীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং কারাদণ্ড দিয়েছে। বুধবার ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একথা জানায়।
১৬ সেপ্টেম্বর মাহসা আমিনির মৃত্যুর এক বছর পূর্তি হওয়ার ঠিক আগে এই সাজাগুলোর ঘোষণা এসেছে। কর্তৃপক্ষ সক্রিয় কর্মী এবং অন্যদেরকে যেকোনো ভিন্নমত দমন করার আপাত প্রচেষ্টা হিসেবে আটক করা অব্যাহত রেখেছে।
সংবাদ সংস্থা মিজান জানায়, দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ডঃ হামিদ কারাহাসনালুকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং তার স্ত্রী ফারজানেহকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দুজনকে কারাদন্ডের সময়টুকুতে তাদের বাড়ি থেকে দূরে একটি কারাগারে বন্দি থাকতে হবে। মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অন্যদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।
ঐ চিকিৎসক ও তার স্ত্রী ঠিক কী করেছিলেন তা স্পষ্ট নয়। তবে বিক্ষোভের সময় বিক্ষোভকারীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া ডাক্তারদের হয়রানি এবং গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
বিক্ষোভের পর নিরাপত্তা দমন অভিযানে ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং ২২ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। সে সময় মাহসা আমিনি (২২)-কে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির কঠোর পোশাক বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে ইরানের নীতি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তিনি পুলিশ হেফাজতে মারা যান। দেশটির পোশাক বিধি অনুযায়ী, নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক।
এই বিক্ষোভ ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানের ধর্মতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি। নারীরা হিজাব পরা অব্যাহত রেখেছে, তা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ব্যবসা এবং অন্যান্য স্থানের ওপর আইনের প্রয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে।