ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নতুন করে শুনানির নির্দেশ, নতুন করে লোকসভার সদস্য পদ হারানোর আশঙ্কা লাক্ষাদ্বীপের সাংসদের

নতুন করে লোকসভার সদস্য পদ হারানোর আশঙ্কা লাক্ষাদ্বীপের এনসিপি সাংসদ মহম্মদ ফয়সলের।

খুনের চেষ্টার মামলায় নিম্ন আদালত সাত বছর কারাবাসের সাজা দিয়েছিল ভারতের লাক্ষাদ্বীপের এনসিপি সাংসদ মহম্মদ ফয়সলকে। তৎক্ষনাৎ চলে গিয়েছিল তার লোকসভার সদস্য পদ। কিন্তু গুজরাত হাইকোর্ট তাকে সেই মামলায় রেহাই দেয়। উচ্চ আদালত বলে ফয়সলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগটাই ভিত্তিহীন। সেই রায়কে হাতিয়ার করে লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পান তিনি।

তবে মঙ্গলবার ২২ অগাস্ট তাকে ফের দুঃসংবাদ শুনিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি বিভি নাগরত্না এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়া মঙ্গলবার বলেছেন, হাইকোর্ট মামলাটির উপযুক্ত বিচার করেনি। শীর্ষ আদালত হাইকোর্টকে ফের মামলাটির শুনানি করার নির্দেশ দিয়েছে। বলেছে দেড় মাসের মধ্যে শুনানি শেষ করতে হবে। ততদিন অবশ্য ফয়সলের সাংসদ পদ বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি।

এই পরিপ্রেক্ষিতেই উঠে এসেছে রাহুল গান্ধীর মামলার বিষয়টিও। বিচার মহলের বক্তব্য, রাহুলের সাজা প্রত্যাহার করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে মোদী পদবিধারীদের মানহানি করার অভিযোগও সুপ্রিম কোর্ট প্রত্যাহার করেনি। শীর্ষ আদালত রাহুলের সাজার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে বলেছে, অপরাধের জন্য কেন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে তার সপক্ষে নিম্ন আদালত যথেষ্ট যুক্তি হাজির করতে পারেনি। আইনজ্ঞ মহলের মতে, রাহুলের মামলার পরিণতি যে কোনও সময় আদালতের রায়ে বদলে যেতেই পারে। মামলাকারী বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদী মনে করলে সুপ্রিম কোর্টের উচ্চতর বেঞ্চে মামলা করতে পারেন। উচ্চতর বেঞ্চ রায় বদলে দিতেই পারে। তবে তার আগে সুপ্রিম কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানি শেষ হতে হবে। প্রাথমিক শুনানির ভিত্তিতে রাহুলের সাজার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত।

এদিকে, লাক্ষাদ্বীপে খুনের চেষ্টার অভিযোগে একই মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন ফয়সলের ভাইও। হাইকোর্ট তার ভাইয়ের সাজা বহাল রেখেছে। কিন্তু ফয়সলের সাজা প্রত্যাহার করে নেয়। যদিও হাইকোর্ট রায় দেওয়ার পরও প্রায় দেড় মাস লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পাননি ফয়সল। শেষে লোকসভার সচিবালয়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন তিনি। সেই মামলার শুনানি শুরুর আগেই অবশ্য ফয়সলকে সদস্যপদ ফিরিয়ে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এখন দেখার গুজরাত হাইকোর্ট পূর্ববর্তী রায় ফিরিয়ে নেয় কি না।