২০১৯ সালে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র ‘চন্দ্রযান-২’ অবতরণের সময় শ্রীহরিকোটায় পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এবার তিনি দেশে নেই। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে ‘চন্দ্রযান-৩’ অবতরণের সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সশরীরে সাক্ষী থাকতে না পারলেও ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি উপস্থিত হবেন সেই সময়। সমগ্র ভারত তথা বিশ্ববাসীর সঙ্গে তিনিও ভার্চুয়ালি-ই ওই বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
সংবাদ সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে তিনি ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিতে জোহানেসবার্গ গিয়েছেন। মঙ্গলবার ২২ অগাস্ট তিনি সেখানে পৌঁছেছেন। বুধবার ২৩ অগাস্ট সন্ধের আগেই তিনি সেখানকার কর্মসূচি শেষ করে ফেলবেন। আর তারপর ইসরো-র সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধে ৫:৪৫ মিনিটে শুরু হবে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর অবতরণের প্রক্রিয়া। যা বিকেল সাড়ে পাঁচটার কিছু আগে থেকে সরাসরি লাইভ দেখানো হবে একাধিক চ্যানেলে। অর্থাৎ চাঁদে অবতরণের শেষ ৪৪ মিনিট সরাসরি দেখা যাবে নিজের বাড়ির টিভি কিংবা মোবাইলে-ই। রবিবার ২০ অগাস্ট রাশিয়ার লুনা-র চন্দ্রাভিযান অসফল হয়েছে। ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ যেন সফল হয়, আপাতত সেই প্রার্থনাই করছে গোটা দেশ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২-এর অবতরণের সময় শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
সেবার চাঁদে নামার মিনিট খানেক আগেই ঘটে বিপর্যয়। ল্যান্ডিংয়ের কয়েক মুহূর্ত আগেই আছাড় খেয়ে চাঁদের মাটিতে ভেঙে পড়ে ‘চন্দ্রযান ২’। অসফল অভিযানের শেষে কেঁদে ফেলেছিলেন ইসরো-র তৎকালীন ডিরেক্টর কে শিবন। সেসময় তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। যা চাক্ষুষ করেছিল টিভির পর্দায় চোখ রাখা ভারত তথা সারা পৃথিবীর সকলেই।