পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি রবিবার বলেছেন, তিনি দুটো আইনে স্বাক্ষর করতে অসম্মতি জানিয়েছেন। সমালোচকরা বলছেন যে আইন দুটি ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনে সহায়ক হবে এবং সামরিক বাহিনী ও জাতীয় নিরাপত্তা বিরোধী কাজের জন্য দায়ী লোকদের বিচার করতে, কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার পরিধি বাড়াবে। এমন আইনগুলেতেই স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
বিলুপ্ত হওয়ার ঠিক আগে, পাকিস্তানের পার্লামেন্ট প্রশ্নবিদ্ধ বিলগুলো পাস করে। পার্লামেন্টের আনুষ্ঠানিক মেয়াদ শেষ হয় গত ৯ আগস্ট। সংবিধানের বিধান মতে, বিলগুলো আইনে পরিণত হওয়ার জন্য প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর প্রয়োজন।পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট বিলে স্বাক্ষর না করলে; অথবা তার পর্যবেক্ষণ বা আপত্তিসহ ১০ দিনের মধ্যে তা ফেরত না পাঠালে, দেশটির পার্লামেন্টের দুই কক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে বিলটি আইনে পরিণত হবে।
আলভি তার বিবৃতিতে যে বিলগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন, সেগুলোতে, পাকিস্তান বা তার সশস্ত্র বাহিনীর নিরাপত্তা এবং স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর তথ্য প্রকাশ করাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি, এই বিলগুলোতে, আইন লঙ্ঘনের সন্দেহের ভিত্তিতেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অভিযান চালানো এবং বেসামরিক নাগরিকদেরকে আটক করার এখতিয়ার দেয়া হয়েছে।
স্বাধীন সমালোচক এবং বিরোধী দল, কারাগারে আটক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই, আইনগুলো পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পরপরই প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে নতুন আইন নাগরিক স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করবে এবং জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে ভিন্নমত দমন করতে সামরিক বাহিনীকে আরো ক্ষমতা প্রদান করবে।