ত্রাণকর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার কোনো ছাড় নেই: জাতিসংঘ

২৩ জুলাই লিবিয়া-তিউনিসিয়া সীমান্তের কাছে অভিবাসীদের সহায়তা করছে ত্রাণ কর্মীরা।

বাগদাদে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ভয়াবহ হামলার ২০ বছর পূর্তির প্রাক্কালে উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ বছর বিশ্বজুড়ে মোট ৬২ জন মানবিক সহায়তা কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক তৎকালীন হাইকমিশনার এবং ইরাকে জাতিসংঘ মিশনের প্রধান সার্জিও ভিয়েরা ডি মেলোসহ ২২ জন ইরাকে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে যে প্রাণ হারান তার স্মরণে জাতিসংঘ প্রতি বছর ১৯ আগস্ট বিশ্ব মানবিক দিবস পালন করে।

পরামর্শক সংস্থা হিউম্যানিটারিয়ান আউটকামসের এইড ওয়ার্কার সিকিউরিটি ডাটাবেস অনুসারে, এ বছর বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে ৬২ জন নিহত হয়েছেন,আরও ৮৪ জন ত্রাণকর্মী আহত হয়েছেন এবং ৩৪ জন অপহৃত হয়েছেন। ২০২২ সালেমোট মৃতের সংখ্যা ছিল ১১৬ জন।

বেশ কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ সুদান ত্রাণকর্মীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান হয়ে রয়েছে।

তালিকায় এর পরে ছিল সুদানের উত্তরাঞ্চল।এই বছর এ পর্যন্ত ত্রাণ কর্মীদের উপর ১৭টি হামলায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন।

২০০৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দারফুর সংঘাতের পর থেকে এত বেশী মৃতের সংখ্যা আর দেখা যায়নি। অন্যান্য যে সব দেশে মানবিক কর্মীরা প্রাণ হারিয়েছেন সেগুলো হলো মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, মালি, সোমালিয়া, ইউক্রেন এবং ইয়েমেনসহ অন্যান্য দেশ ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় ডক্টরস অব দ্য ওয়ার্ল্ড, অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার এবং হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনালসহ এনজিওগুলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “আমরা যে ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছি তা মানুষের চিন্তা-ভাবনার বাইরে”।

আন্তর্জাতিক এনজিও সেফটি অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলায় যারা মারাযাচ্ছেন তাদের ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ স্থানীয়।

জাতিসংঘের সদর দপ্তর হিসেবে কার্য পরিচালনার স্থান বাগদাদের ক্যানালহোটেলের বোমা হামলার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ বছর ইরাকের রাজধানীতে বিশ্বমানবিক দিবস পালিতহচ্ছে।