খাদ্য সংকটের প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়ার কিম টাইফুনে ক্ষতিগ্রস্ত খামার পরিদর্শন করেছেন

উত্তর কোরিয়ার সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ)-র ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট প্রকাশিত তারিখবিহীন এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন (মাঝে) কাংওন প্রদেশের আনবিয়ন-গানের একটি খামারে পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন।

শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন টাইফুন-বিধ্বস্ত খামার পরিদর্শন করেছেন এবং দেশটির প্রধান ফসল রক্ষার জন্য কীটনাশক ছিটানো সামরিক হেলিকপ্টারগুলোর তদারকি করেছেন।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে তাদের জনগণ ক্ষুধার্ত এবং মৌলিক চাহিদার অভাব থাকা সত্ত্বেও পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিতে প্রচুর ব্যয় করার অভিযোগ আনার কয়েক ঘণ্টা পর এই সফরটি সংঘটিত হয়।

কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে কিম কাংওয়ান প্রদেশের ধানের ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন। ওই ক্ষেত টাইফুনে প্লাবিত হয়েছিল। তবে কিম “ক্ষয় থেকে সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের” ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এবং ফসল রক্ষায় সহায়তাকারী দেশপ্রেমিক সেনাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ।

বৃহস্পতিবার সোওলের গুপ্তচর সংস্থা বলেছে, উত্তর কোরিয়ায় মানুষ অনাহারে রয়েছে, দেশটির অর্থনীতি ২০২০-২২ এই তিন বছরে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির একটি “দুষ্ট চক্রে” আটকা পড়েছে।

জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ক্ষুধার কারণে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক বার্ষিক গড় ১১০-এর দ্বিগুণের বেশি।

দেশটির কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও পিয়ংইয়ং এই বছরে এক নাগাড়ে রেকর্ড ভাঙ্গা অস্ত্র পরীক্ষা পরিচালনা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে দেশটির প্রথম কঠিন-জ্বালানির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি বড় একটি প্রযুক্তিগত অগ্রগতি।

ওয়াশিংটন এবং সোওল পরের সপ্তাহে উলচি ফ্রিডম শিল্ড নামে পরিচিত বৃহৎ বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করতে প্রস্তুত। এটি পিয়ংইয়ংকে ক্ষেপিয়ে তোলার মতো একটি পদক্ষেপ। পিয়ংইয়ং এই ধরনের সমস্ত অনুশীলনকে আক্রমণের মহড়া হিসেবে দেখে।