মার্কিন ডলার-এর তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার ভয়ানক পতন, অনেকটা কমল সোনার দাম

মার্কিন ডলার-এর তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার ভয়ানক পতন, অনেকটা কমল সোনার দাম

মার্কিন ডলার-এর বিনিময়ে ভারতীয় মুদ্রার ভয়ানক পতন হল। এতটাই যে এবার প্রতি ডলারের বিনিময়ে ভারতীয় মুদ্রা নেমে গেল ৮৩ টাকার চেয়েও বেশি। শুক্রবার ১৮ অগস্ট দুপুর পর্যন্ত ভারতীয় মুদ্রার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৩ টাকা ১২ পয়সা।

মুদ্রার যখন এরকম অবমূল্যায়ন হচ্ছে, তখন ভারতের মধ্যবিত্তের জন্য একটা ইতিবাচক খবর হল বিয়ের মরশুমের আগে সোনার দাম গত কদিন ধরে অনেকটাই কমেছে। শুক্রবার পূর্ব ভারতের কলকাতা শহরে ১০ গ্রাম হলমার্ক গহনা সোনা তথা ২২ ক্যারেট সোনার দাম ছিল ৫৬,৩০০ টাকা। বৃহস্পতিবারের তুলনায় আরও ২৫০ টাকা কমেছে।

মুদ্রার এই অবমূল্যায়নের নেপথ্যে আন্তর্জাতিক কারণ রয়েছে বলেই অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা অনেকে মনে করছেন, দু-তিনটি কারণে এটা হচ্ছে। প্রথমত, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ দীর্ঘ মেয়াদে সুদের হার বাড়িয়ে রাখতে পারে। সেই উৎকণ্ঠা থেকে মুদ্রার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। চীনের মুদ্রা ইউয়ান-এর অবমূল্যায়ন ঘটেছে। তাতে রপ্তানি বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। সেই কারণেও টাকার দামে পতন ঘটে থাকতে পারে।

চলতি সপ্তাহে ইউয়ান-এর মূল্য ০.৬ শতাংশ কমেছে। এ বছর সামগ্রিক ভাবে তা কমেছে ৫.৩ শতাংশ। চীনের ঘরোয়া বাজারে ঋণ সংকট চলছে। প্রপার্টি তথা রিয়েল এস্টেট সেক্টরে বৃদ্ধি কমেছে। ফলে ঋণের বোঝা ক্রমশ বাড়ছে।

আবার অনেকের মতে যেহেতু ভারতে উপভোক্তা মূল্যসূচক জুলাই মাসে ৭.৪৪ শতাংশে পৌঁছেছিল, তার ফলেও মুদ্রার উপর একটা চাপ তৈরি হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রত্যাশা ছিল মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশের মধ্যে থাকবে। কিন্তু খাদ্যপণ্য বিশেষ করে শাক-সবজির দাম বাড়ায় মুদ্রাস্ফীতির হার গত কয়েক মাসে এই প্রথম ৭ শতাংশ ছাপিয়ে গিয়েছে। এর ফলে অর্থনৈতিক বাজারে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার চড়াই রাখবে। তাই ভারতীয় মুদ্রার পতনের জন্য সেটাও একটা কারণ হতে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন।