সম্প্রতি এইস্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটিতে মুষ্টিমেয় ইসলামবিরোধী সক্রিয়বাদীরা প্রকাশ্যে যে কোরান অবমাননারঘটনা ঘটিয়েছে তার পরসুইডেনে সন্ত্রাসবাদের সতর্কতার মাত্রা এক ধাপ বাড়িয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করা হয়েছে। এই ঘটনায় মুসিলম দেশগুলোতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
এক ইরাকি শরণার্থী প্রকাশ্যে কয়েকটি কোরান পোড়ানোর ঘটনার পর সুইডেন সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিদেশে তাদের নাগরিক এবং ঐ দেশটির সাথে সম্পর্কিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্তৃপক্ষের সরবরাহকৃত তথ্যের প্রতি “মনোযোগীএবং সচেতন থাকতে”বলেছে।
এই স্ক্যান্ডিনেভিয়ানদেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সেবা এসএপিও জানিয়েছে, সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে এবং সুইডেনে সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির মাত্রা এখন ৪ বা তার থেকেও উপরে ( অর্থাৎ)পাঁচ মাত্রার স্কেলের “সর্বোচ্চ” পর্যায়ে রয়েছে, যা ২০১৬ সালের পর এই প্রথম।
এসএপিও সংস্থার প্রধানশার্লট ভন এসেন বলেন,“আমরা একটি অবনতিশীল পরিস্থিতির মাঝে রয়েছি এবং এই হুমকি দীর্ঘদিন ধরেই থাকবে”। তিনি আরও বলেন যে “ সহিংস ইসলামপন্থিদের মধ্যকার লোকজেনর তরফ থেকে হামলার হুমকি এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছ”।
সুইডেনের জনগণকে 'স্বাভাবিকভাবে'জীবনযাপন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ভন এসেন জোর দিয়ে বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, যার কারণে সতর্কতা বাড়ানো হয়নি”।
এ বছরের শুরুতে ডেনমার্কের এক কট্টর ডানপন্থী সক্রিয়বাদীস্টকহোমে তুরস্ক দূতাবাসের বাইরে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরানের একটি কপি পুড়িয়ে দেয়।
ওদিকে ইস্তাম্বুলে সুইডিশ কনস্যুলেটের বাইরে প্রায় ২৫০ জন লোক জড়ো হয়ে ড্যানিশ-সুইডিশ ইসলাম বিরোধী কর্মী রাসমাস পালুদানের একটি ছবিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ডেনমার্কের জাতীয় পুলিশ বুধবার জানিয়েছে যে অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা পিইটি'র 'সুপারিশে'“ডেনমার্কের অভ্যন্তরীণ সীমান্তে সাময়িকভাবে জোরদার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। সুইডেনসীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবংসীমান্ত পারাপারের স্থানে পরিচয়-পত্র পরীক্ষাওজোরদার করেছে।