পাকিস্তানে খ্রিস্টানদের গির্জা এবং বাড়িতে হামলা, ১২৯ জন মুসলমান গ্রেফতার

পাকিস্তানের ফয়সালাবাদ জেলার জরানওয়ালায় একটি খ্রিস্টান এলাকায় বিক্ষুব্ধ মুসলিম জনতা ওই এলাকার বাড়িঘর ভাঙচুর করে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা হেঁটে যাচ্ছেন। ১৭ আগস্ট, ২০২৩।

পূর্ব পাকিস্তানের একটি এলাকা থেকে রাতভর অভিযানে পুলিশ ১০০ জনের বেশি মুসলমানকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই এলাকায় এখন খ্রিস্টান ব্যক্তির দ্বারা কুরআনের কথিত অবমাননার অভিযোগে ক্ষুব্ধ মুসলিম জনতা গির্জা এবং সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। এই ঘটনা কর্তৃপক্ষকে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য সেনা মোতায়েনের জন্য প্ররোচিত করেছিল। বৃহস্পতিবার কর্মকর্তারা একথা জানান।

খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে দেশের সবচেয়ে মারাত্মক হামলার পর ফয়সালাবাদ জেলার জরানওয়ালা শহরের একটি আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী খ্রিস্টানরা তাদের পরিবারসহ দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যায়। তাই হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

বুধবার স্থানীয় একজন যাজক খালিদ মুখতার এপিকে বলেন, এলাকায় বসবাসকারী বেশিরভাগ খ্রিস্টান নিরাপদ স্থানে পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন, “এমনকি আমার বাড়িও পুড়িয়ে দেয়া হয়।” তার ধারণা, জরানওয়ালার ১৭টি গির্জার অধিকাংশেই হামলা করা হয়েছে।

বিভিন্ন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এই সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দেশটির ব্লাসফেমি আইন বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে।

দেশটির ব্লাসফেমি আইনের অধীনে, যে কেউ ইসলাম বা ইসলাম ধর্মের ব্যক্তিত্বদের অবমাননার জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। যদিও কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ব্লাসফেমির জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেনি, প্রায়শই শুধুমাত্র ব্লাসফেমির অভিযোগই দাঙ্গা সৃষ্টি করতে পারে এবং জনতাকে সহিংসতা এবং হত্যার জন্য উস্কে দিতে পারে।

দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভীতি প্রদর্শন এবং ব্যক্তিগত প্রতিশোধ নেয়ার জন্য প্রায়শই ব্লাসফেমির অভিযোগ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।