হাইতির গ্যাং লিডার জাতিসংঘের বহুজাতিক বাহিনীকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি সতর্ক করলেন
পোর্ট-অ-প্রিন্সেরশক্তিশালী জি-নাইন ফ্যামিলি অ্যান্ড অ্যালায়েন্স গ্যাং (এফআরজি9) এর নেতা জিমি চেরিজিয়ার বুধবার সংবাদদাতাদের বলেন,বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতেহাইতির নিরাপত্তা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সহায়তার জন্য তিনি একটি বহুজাতিক পুলিশ বাহিনীকে স্বাগত জানাবেন।
চেরিজিয়ার বলেন,“বিদেশি বাহিনী এসে যখন দুর্নীতিগ্রস্ত ক্ষমতাধর ধনবান ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও রাজনীতিক যারা সুবিধাবঞ্চিত এলাকার মানুষের কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রি করছে তাদেরকে যখন গ্রেপ্তার করবে তখন আমি তাদের সাধুবাদ জানাব।”
তিনি আরও বলেন,“তারা দেশে আসার পরে প্রথমেই যদি হাইতিরপ্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিকে গ্রেপ্তার করে তা হলেই আমরা বিদেশিবাহিনীর প্রশংসা করব। যদি তারা দেশেরনিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠারজন্য কাজ করে যাতেজনজীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে তাহলেই আমরা তাদের সাধুবাদ জানাব।
"বারবিকিউ" নামেও পরিচিত হাইতির জাতীয় পুলিশবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা চেরিজিয়ার অপরাধীচক্রের নেতাদের একজন যাদের বহুজাতিক বাহিনী নিশানায় পরিণত করেছে। সংবাদদাতাদের কাছে দেওয়া বক্তব্যে তিনি অবশ্য এ বিষয়ে কোনো উল্লেখ করেন নি।
তবে তিনি একটিসতর্কবাণী জারি করেছেন:
তিনি বলেন, “২০২৩ বা ২০২৪ সালে যদি বিদেশি বাহিনী আসে এবং আমরা দেখতে পাই তারা নারীদের উপর যৌননিপীড়ন করছে এবংঅল্পবয়সী ছেলেদের ধর্ষণ করছে যেমনটি ২০০৪ সালে উরুগুয়ের সৈন্যরা করেছিল। যদি তারা হাইতিতে কলেরা নিয়ে আসার পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় আমাদের উপরে গুলিচালায় ও মানুষকে হত্যা করে বা গণহত্যা চালায় তা হলে আমরা হাইতিবাসীরা আমাদের শেষ রক্ত কণা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করব।
মানবাধিকার লঙ্ঘন,অপহরণ এবং সহিংসতা উস্কে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং জাতিসংঘ হাইতির যে সকল গ্যাং নেতাদের নিষিদ্ধ করেছে চেরিজিয়ার তাদের মধ্যে অন্যতম।
২০২২ সালের অক্টোবর মাসে হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিকেআন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে হাইতির জাতীয় পুলিশকে অপরাধীচক্রেরসহিংসতা মোকাবেলায় এবং দেশের সুরক্ষায় সহায়তা করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক বাহিনীর জন্য আবেদন করেছিলেন।