ভারতে ভূমিধস ও ভারী বৃষ্টিতে এই সপ্তাহে অন্তত ৭২ জনের প্রাণহানি

২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) দেওয়া এই ছবিতে ভারতের বন্যাপীড়িত রাজ্য হিমাচল প্রদেশে এক শিশুকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন এক এনডিআরএফ কর্মী।

ভারতের হিমালয় অঞ্চলে কয়েক দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি এই সপ্তাহে অন্তত ৭২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন এক সরকারি কর্মকর্তা। ভারী বর্ষণের ফলে ভূমিতে ধস নেমেছে এবং প্রবল বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাস্তাগুলি জলে ডুবে গেছে, বাড়িঘর ভেসে গেছে এবং বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছেন।

পার্বত্য হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে সপ্তাহান্তে বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট কাদা এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকদের বাঁচাতে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও কাজ করছেন উদ্ধারকারীরা। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ এই রাজ্যে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে এবং আগামী কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছে।

এই রাজ্যের জরুরীকালীন অভিযান কেন্দ্রের এক কর্মী বিক্রম সিং বৃহস্পতিবার বলেন, গত পাঁচদিনে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং উদ্ধারকাজ চলছে।

ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলগুলি নিচু, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলি থেকে লোকদের সরিয়ে নিতে সহায়তা করার কারণে শত শত রাস্তা অবরুদ্ধ রয়েছে এবং রাজধানী শিমলার স্কুলগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বলেছেন, হেলিকপ্টার এবং মোটরবোট ব্যবহার করে ২ হাজার জনেরও বেশি লোককে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তারা এখন ত্রাণ শিবিরে নিরাপদে রয়েছেন।

শিমলায় মারাত্মক ভূমিধসের মধ্যে সোমবার একটি হিন্দু মন্দির ভেঙে পড়ে। কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করে লোকেরা এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, মন্দিরে ভক্তদের ভিড় ছিল। উদ্ধার কাজ চলতে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখু সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন যে এই বর্ষার বৃষ্টিতে ধ্বংস হওয়া অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ করতে এক বছর সময় লাগবে। তিনি দাবি করেন, আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০০ বিলিয়ন রুপি (১.২ বিলিয়ন ডলার)। তিনি বলেন, “এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ, পর্বতসম চ্যালেঞ্জ।“