বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরব সফর করেন। চীনের মধ্যস্থতায় দেশ দুটি একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর পরে কয়েক বছরের মধ্যে তেহরানের শীর্ষ কূটনীতিকের এটি প্রথম সৌদি আরব সফর।
সরকারিভাবে সৌদি আরব সফরকারী সর্বশেষ ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ। তিনি ২০১৫ সালে বাদশাহ আবদুল্লাহর মৃত্যুতে শোক জানাতে সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা সৌদি কূটনৈতিক পোস্টে আক্রমণ করার পরে ২০১৬ সালে ইরানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব। এর ৪৬ দিন আগে একজন বিশিষ্ট শিয়া ধর্মগুরুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল সৌদি আরব,যার ফলে ওই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়।
তারপর, ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি থেকে একতরফাভাবে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়। ইরানকে এর পরে ধারাবাহিক হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৯ সালে সৌদি আরবে তেল শিল্পের কেন্দ্রস্থলকে লক্ষ্য করে হামলা, যা সাময়িকভাবে দেশটির অপরিশোধিত তেল উৎপাদনকে অর্ধেক করে দেয়।
ধর্মও এই উত্তেজনায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে। সৌদি আরবে কাবা শরীফ অবস্থিত। কাবার দিকে মুখ করে সারা পৃথিবীর মুসলমানরা দিনে পাঁচবার নামাজ পড়েন। সৌদিরা সুন্নি মতাললম্বী। এদিকে ইরানের ধর্মতন্ত্র নিজেকে ইসলামের শিয়া সংখ্যালঘুদের রক্ষক হিসেবে দেখে।
কিন্তু করোনা ভাইরাস মহামারির পরে এবং আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তাড়াহুড়ো করে প্রত্যহার এসব কারণে সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় আরব দেশগুলো কীভাবে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক পরিচালনা করা যায় তা পুনর্মূল্যায়ন করা শুরু করেছে। মার্চ মাসে সৌদি আরব এবং ইরান দূতাবাসগুলো পুনরায় খোলার জন্য চীনের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।