রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে গ্রহণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানদের পরামর্শকে না বলেছে বাংলাদেশ—পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন

বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার একটি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে হেঁটে যাচ্ছে শরণার্থীরা। ৯ মার্চ, ২০২৩। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দুই কংগ্রেসম্যান এড কেস ও রিচার্ড ম্যাককরমিক সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে রোহিঙ্গাদের দক্ষতা বাড়িয়ে এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করে তাদের স্থায়ীভাবে গ্রহণ করতে বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়েছেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, “আমরা (তাদের) না বলেছিলাম। আমরা বলেছি বাংলাদেশ সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। আমাদের অন্য দেশের নাগরিকদের প্রয়োজন নেই”।

আব্দুল মোমেন বলেন, উন্নত জীবনের জন্য রোহিঙ্গাদের নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে হবে। “আপনানা (যুক্তরাষ্ট্র) কিছু রোহিঙ্গাকে নিতে পারেন”।

বুধবার (১৬ অগাস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল তারা রোহিঙ্গাদের নেবে, কিন্তু তারা নেয়নি।

আব্দুল মোমেন বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর ধারণা হচ্ছে রোহিঙ্গারা যেহেতু এখানে বসবাস করছে বাংলাদেশ তাদের গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, “প্রত্যাবাসন অগ্রাধিকার। আপনারা (যুক্তরাষ্ট্র) মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য চেষ্টা করুন। মিয়ানমার বাংলাদেশের শত্রু নয়, তবে তাদের কিছু সমস্যা রয়েছে”।

এর আগে আব্দুল মোমেন বলেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিতে ইচ্ছুক কিন্তু কিছু বিদেশি সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এই মুহূর্তে তাদের প্রত্যাবাসনে সমর্থন করছে না।

২ অগাস্ট আব্দুল মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “তারা (আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়) মনে করে যে, সেখানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না”।

আব্দুল মোমেন বলেন, প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করছে এমন সব স্টেকহোল্ডারের কাছ থেকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন রয়েছে বলে তারা মনে করেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, “বিদেশি সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো পরামর্শ দেয়, আমরা যেন প্রত্যাবাসনের চেষ্টা না করি”।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা ফিরতে ইচ্ছুক এবং মিয়ানমার সরকারও তাদের ফিরিয়ে নিতে ইচ্ছুক।