হাইতির জন্য শক্তিশালী বহুজাতিক বাহিনী গঠনের আহ্বান জানালেন জাতিসংঘ প্রধান

পোর্ট-অ-প্রিন্সে বিক্ষোভের সময় পুলিশের টিয়ার গ্যাস থেকে বাঁচতে বিক্ষোভকারীরা দৌড়াচ্ছে। ৭ আগস্ট, ২০২৩। ফাইল ছবি।

হাইতিকে অস্থির করে রাখা গ্যাং সহিংসতা বন্ধে জাতীয় পুলিশকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে “এখনই কাজ” করার এবং জাতিসংঘের বাইরে শক্তিশালী একটি সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

অক্টোবরে হাইতির প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা পরিষদকে জরুরিভাবে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠাতে বলেছিলেন। কিন্তু মাত্র অল্প কয়েকটি দেশ পুলিশ পাঠানোর কথা বিবেচনা করেছে এবং এর জন্য কয়েক মাস সময় নিয়েছে।

প্রতিবেদনে জাতিসংঘ প্রধান এই মাসের শুরুতে কেনিয়ার সম্ভাব্য একটি বহুজাতিক শক্তির নেতৃত্ব দেয়ার কথা বিবেচনা করার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বাহামা এবং জ্যামাইকার সমর্থনের প্রতিশ্রুতি এবং বাহিনীতে অবদান রাখার বিষয়ে অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার ঘোষণার কথা উল্লেখ করেছেন।

গুতেরেস বলেন, “আমি অতিরিক্ত সদস্য দেশগুলোকে, বিশেষ করে আমেরিকাকে, নতুন গতিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।”

জাতিসংঘ বলেছে, বড় আকারের গ্যাং হামলা প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। প্রায় ৫০ লাখ হাইতিয়ান নিরাপত্তাজনিত কারণে তীব্র ক্ষুধায় ভুগছে। কারণ সশস্ত্র অপরাধীরা মূল দ্বীপের রাস্তা এবং বাজারে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে। অপহরণ, ধর্ষণ বা হত্যার শিকার হওয়ার ভয়ে লোকজন তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে ভয় পাচ্ছে।

অক্টোবরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে পাঁচ বছরের মধ্যে হাইতির ওপর প্রথমবারের মতো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যারা গ্যাং সহিংসতাকে উস্কে দেয় তাদেরকে লক্ষ্য করে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে তা এখন পর্যন্ত তেমন প্রভাব ফেলেনি।